২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত সম্মানিত সারথিগণ যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাদের বক্তব্য এবং প্রস্তাবনাগুলো

গত ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত সম্মানিত সারথিগণ যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাদের বক্তব্য এবং প্রস্তাবনাগুলো আজ পোষ্ট দিলাম। পরবর্তীতে সভার সিদ্ধান্তসমূহ পোষ্ট দেয়া হবে। বিজয় থেকে অভ্র ফণ্টে কনভার্ট করতে গিয়ে কিছু শব্দ ছুটে যেতে পারে, কিছু বানান ভুলও হতে পারে, এটাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য সারথিদের অনুরোধ করছি। সারথিদের মনযোগ দিয়ে পড়ে তাদের মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

গত ফেব্রুয়রি ২১,২০১৯ ইং বৃহস্পতিবার সকাল ১১ঃ০০ টায় শারদাঞ্জলি ফোরাম-এর অস্থায়ী কার্যালয় চিত্তরঞ্জন এভিনিউ, মল্লিক টাওয়ারের ৮ম তলায় শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি শ্রী বাবুল চন্দ্র পাল।

আজকের সভায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্রী নিকেতন দে। সঞ্চালক শ্রী নিকেতন উপস্থিতিত সকল সারথিকে স্বাগতঃ জানিয়ে আজকের সভাকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন। সভার প্রারম্ভে আজকের সভার সভাপতি সহ সম্মানিত অতিথিগণ মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। সভাপতি এবং সম্মানিত অতিথিবৃন্দ আসন গ্রহণের পর সঞ্চালক শ্রী নিকেতন দে সভাপতির অনুমতিক্রমে সভার কার্যক্রম শুরু করনে।

প্রথমে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী রাজ শ্রীমদ্ভগবগীতা থেকে শ্লোক পাঠ করেন।

এরপর ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি এবং ২০ ফ্রেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখ বুধবার রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াভত অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এরপর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী লিটন চন্দ্র পাল শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। তিনি তার বক্তবের প্রারম্ভে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখ বুধবার রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াভত অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রতি শোক জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন যে, দুই মাস পূর্বে শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে গীতা-খাতা ছাপানোর পর বিভিন্ন জেলায় চাহিদা মোতাবেক এ পর্যন্ত ২ হাজার গীতা এবং খাতা বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিয়ত গীতা-খাতার জন্য চাহিদা আসছে। বর্তমানে যে মজুদ আছে তা হয়ত আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। আবার গীতা-খাতা ছাপাতে হবে। এজন্য অর্থের প্রয়োজন। কেন্দ্রীয়ভাবে যে মাসিক ডোনার ফাণ্ড করা হয়েছে, সেটাকে কার্যকর করতে হবে। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটির সারথিদের সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন যে, ২০১৮ সালের মাসিক চাঁদা এখনো কিছু সারথি পরিশোধ করেননি। ২০১৯ সাল এসে গেছে। যারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে আছেন, নিয়মিত মাসিক চাঁদা প্রদানের জন্য তিনি অনুরোধ জানান। তিনি আরও বলেন যে, শারদাঞ্জলি ব্লাড ব্যাংকের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী জরুরী প্রয়োজনে রোগীদের প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা রক্তদান করে যাচ্ছেন। এই কর্মসূচিকে আরও প্রসারিত করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। রক্তদান কর্মসূচি নিয়ে শারদাঞ্জলি ব্লাড ব্যাংকের এডমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক পুস্পেন্দু মজুমদার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রী বাবুল চন্দ্র পাল-এর বরাবরে ১৫ টি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন। তিনি আজকের সভায় সেই প্রস্তাবনা সভায় পাঠ করে শুনান। প্রস্তাবনাগুলো হলো- শারদাঞ্জলি ব্লাড ব্যাংককে শারদাঞ্জলি ফোরামের একটি অঙ্গ সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া, আলাদা তহবিল সৃষ্টি করা, জেলায় জেলায় ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং প্রচারণা চালানো, রক্তদাতাদের আলাদা কার্ড দেয়া, শারদাঞ্জলি ফোরামের ব্লাড ব্যাংককে ওয়েবসাইটে সংযুক্ত করা, অনলাইনে রেজিস্ট্রেশান করা, রক্তদাতাদের অনলাইনে তথ্য সংরক্ষণ করা, কয়েকজন এডমিনকে একটি করে আইডি কার্ড এবং আলাদা পাসওয়ার্ড দেয়া, ২/৩ জন সারথিকে সিমকার্ড এবং মোবাইল বিল দেয়া, ফোরামের সকল রক্তদাতাদের রক্তে গ্রুপ এবং মোবাইল নম্বর দেয়া, শারদাঞ্জলি ব্লাড ব্যাংক-এর জন্য শুধুমাত্র একটি ফেসবুক গ্রুপ রাখা, সকল এডমিনকে একটি করে সুপার আইডি কার্ড দেয়া, রক্তদান কর্মসূচির জন্য আলাদা লিফলেট তৈরি করা, ব্লাড ব্যাংকের জন্য অনুদান সংগ্রহ করা এবং সারথিদের কাছ থেকে রক্তদান কর্মসূচির জন্য আলাদাভাবে চাঁদা সংগ্রহ করা। আজকের সভায় গুরুত্বের সাথে এই প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে যেগুলো বেশী গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো বিবেচনা করার তিনি অনুরোধ জানান। গীতা শিক্ষার ব্যাপারে সত্যিজিৎ চৌধুরী একটি সিলেবাস প্রণয়ন নিয়ে কাজ করছেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যেহেতু গীতা শিক্ষা সারা বাংলাদেশে সম্প্রসারণ হচ্ছে, তাই অভিন্ন একটি সিলেবাস প্রণয়ন জরুরী। সিলেবাস প্রণয়নে সত্যজ্যিৎ চৌধুরীর উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি আরও বলেন যে, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদককে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা কাজ করছেন। এছাড়াও যেসব গীতা নিকেতন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এব্যাপারে জেলা কমিটিগুলোকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকেও সারথিরা গীতা নিকেতন পর্যবেক্ষণ করবেন। জেলা সফর প্রসংগে তিনি বলেন যে, জেলা সফর ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। সামনে অনেকগুলো জেলা সফরের পরিকল্পনা আছে। আগামী সফর হবে ময়মনসিংহ। তিনি আরও বলেন যে, কেন্দ্রীয় কমিটিতে অনেক সংগঠনিক পদ আছে। কিন্তু অনেকেই নিষ্ক্রিয় । এটা খুবই দুঃখজনক। এ প্রসংগে তিনি বলেন যে, আমরা যারা ব্যবসা করি, বিভিন্ন পেশার যাতে জড়িত আছি, ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করি ফোরামের জন্য সময় দিতে। তিনি বলেন, একমাত্র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রী বাবুল চন্দ্র পাল সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত ফোরাম নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি নিয়মিত কেন্দ্রীয় কমিটির সারথি সহ তৃণমূলের সারথির সাথে যোগযোগ রক্ষা করে চলেন। ফেসবুকে ধর্মীয় এবং মানবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিদিন পোষ্ট দিয়ে যাচ্ছেন। এব্যাপারে ফোরামের সবাইকে আরও বেশি করে ফেসবুক প্রচারণায় সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি বলেন যে, সংগঠনের সারথিদের মধ্যে পদ-পদবী নিয়ে অভিমান থাকতেই পারে, কিন্তু সবাইকে সংগঠনের স্বার্থে একসাথে কাজ করতে হবে।

এরপর তিনি আজকের সভার আলোচ্যসূচী সভায় উপস্থাপন করেন।

এরপর কেন্দ্রীয কমিটির প্রধান সমন্বয়ক শ্রী সুমন বর্মন বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন যে, রক্তদানের মত একটি মানমিক কর্মসূচি শারদাঞ্জলি ফোরামের উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে- এটা সত্যিই খুবই আনন্দের। তিনি নিজেও নিয়মিত রক্তদান করে থাকেন। তিনি একটি ক্লিনিকে চাকরি করেন। এব্যাপারে রক্তদান কর্মসূচি নিয়ে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি আরও বলেন যে, সারথিদের মধ্যে পদ-পদবী নিয়ে অভিমান থাকতেই পারে। ফোরামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে অভিমান ভুলে একসাথে কাজ করার অনুরোধ জানান। গীতা শিক্ষা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যেভাবে নানা মানবিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে- তাতে বাংলাদেশে শারদাঞ্জলি ফোরামের নাম ৫০ বছর পর অন্যান্য সনাতনী সংগঠনের জন্য এক অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এরপর চট্টগ্রাম থেকে আগত কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্রী সত্যজিৎ চৌধুরী বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, তিনি দীর্ঘ সময় শারদাঞ্জলি ফোরামে কাজ করছেন। এতদিন শুধু ওয়েবসাইট, টিশার্ট এবং পূজা ম্যাগাজিন ডিজাইন করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এটা একেবারেই সীমাবদ্ধ কাজ। তিনি চট্টগ্রামে আরও অনেক সংগঠনের সাথেই জড়িত আছেন। কিন্তু তার মূল শেকড় শারদাঞ্জলি ফোরাম। গীতা শিক্ষা প্রসংগে তিনি বলেন যে, এব্যাপারে তার মিশ্র অভিজ্ঞতা আছে। চট্টগ্রামেই অনেক গীতা নিকেতন আছে। কিন্তু নিয়মিত মনিটরিং এর ব্যবস্থা নাই। এক এক গীতা নিকেতনে এক একভাবে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। যেহেতু সারা বাংলাদেশে শারদাঞ্জলি ফোরামের উদ্যোগে গীতা শিক্ষা দ্রুত প্রসার ঘটছে, তাই একটি অভিন্ন শিক্ষানীতি বা সিলেবাস প্রণয়ন প্রয়োজন। যেটা চার বছর মেয়াদী হতে পারে এবং শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে পহেলা বৈশাখ থেকে। এজন্য তিনি একটি সিলেবাস প্রণয়নের কাজ শুরু করেছেন বলে সভাকে জানান। তিনি আরও বলেন যে, গীতা শিক্ষার ক্ষেত্রে ঢালাওভাবে গীতা নিকেতন প্রতিষ্ঠা না করার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, কোয়ালিটি নয়, কোয়ানটিটি চাই। নতুন প্রজন্মকে প্রকৃত ধর্ম শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। এজন্য তিনি আমৃত্যু কাজ করে যাবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

এরপর নবাবগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক শ্রী দিলীপ সিদ্ধা বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, নবাবগঞ্জ উপজেলায় ১৪ ইউনিয়ন আছে। ১৪টি ইউনিয়নে শারদাঞ্জলি ফোরামের সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা আছে বলে সভাকে জানান। সেই সাথে নবাবগঞ্জে যাতে গীতা শিক্ষা প্রসার ঘটে এই উদ্যোগও তিনি নেবেন।

কেরানীগঞ্জ থেকে আগত কেরানীগঞ্জ উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজন দাস বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, অন্যান্য সংগঠন থেকে শারদাঞ্জলি ফোরাম একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান ধর্ম শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি নানা মানবিক কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন যে, কেরানীগঞ্জে বিপুল সংখ্যক সনাতনী সম্প্রদায় বসবাস করেন। কিন্তু ঐক্যের অভাবে অনেক সমস্যা সমাধন করা যাচ্ছে না। তিনি যতটুকু সম্ভব নানা সীমাবদ্ধতা এবং প্রতিকূলতার মধ্যেও কাজ করার চেষ্ট করে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন যে, কেরানীগঞ্জ উপজেলায় শারদাঞ্জলি ফোরামের কর্মকাণ্ড যাতে শুরু করা যায়, এজন্য তিনি সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাবেন।

এরপর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী হরকুমার দাস বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, শারদাঞ্জলি ফোরামের উদ্যোগে যে গীতা শিক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এটা সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এজন্য তিনি শারদাঞ্জলি ফোরামকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন যে, গীতা শিক্ষার কোন বয়স নাই। শিশু-কিশোর-যুবক-বৃদ্ধ সবাই শিখতে পারে। তিনি তার এলাকায় শারদাঞ্জলি ফোরামের কর্মকাণ্ড যাতে শুরু করা যায়, এজন্য তিনি সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাবেন।

এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির সারথি এবং নীলফামারী জেলা আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক শ্রী পরিতোষ চন্দ্র রায় বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, শারদাঞ্জলি ফোরামের একজন সারথি হতে পেরে তিনি নিজেকে গর্বিত মনে করেন। তিনি আরও বলেন নীলফামারীতে সম্প্রতি ৩টি গীতা নিকেতন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিকে ধন্যবাদ জানান।

এরপর নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুজন দাস বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, ইসলাম ধর্মে শিশু বয়স থেকে তাদের সন্তানদের কোরান এবং হাদিস শিক্ষা দিয়ে থাকে। কিন্তু সনাতন ধর্মে এমন ব্যবস্থা না-থাকায় নিজেদের ধর্ম সম্পর্কে ভালো ধারণা নাই। শারদাঞ্জলি ফোরাম গীতা শিক্ষার যে উদ্যোগ নিয়েছে এটা খুবই প্রশংসনীয়। এজন্য তিনি শারদাঞ্জলি ফোরামকে ধন্যবাদ জানান। তিনি শারদাঞ্জলি ফোরামের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে তার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।

এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সারথি শ্রীমতি দিপালী সূত্রধর বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, গত কিছুদিন ধরে তিনি অসুস্থ। তবু প্রাণের টানে সভায় উপস্থিত হয়েছেন। তিনি গীতা শিক্ষা প্রসংগে বলেন যে, সারা বাংলাদেশে শারদাঞ্জলি ফোরামের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত গীতা নিকেতনগুলোতে সনাতনী নতুন প্রজন্ম যেভাবে গীতা শিক্ষায় শিখিত হচ্ছে, এটা না-দেখলে অনুধাবন করা যাবে না। এপ্রসংগে তিনি তার চট্টগ্রাম সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যে, তিনি কেন্দ্রীয় কমিটি এবং চট্টগ্রামে জেলা কমিটির সারথিদের সাথে একটি গীতা নিকেতন পরিদর্শনে যান। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে গীতার শ্লোক আবৃত্তি করতে দেখে তিনি মুগ্ধ হয়ে যান। তিনি সারথিদের ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রতিটি জেলায় গ্রাম, পাড়া, মহল্লায় ক্রমশঃ গীতা শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়ার অনুরোধ জানান। তিনি আরও বলেন যে, শারদাঞ্জলি ব্লাড ব্যাংকের এডমিন পুস্পেন্দু মজুমদারের মাধ্যমে রক্তদান কর্মসূচি নিয়ে তিনিও কাজ করছেন। রক্তদানের মত একটি মহতী কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করেন। এই কর্মসূচিকে এখন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। এজন্য রক্তদান কর্মসূচির জন্য একটি আলাদা ফাণ্ড গঠনের অনুরোধ জানান।

এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগীয় সম্পাদক শান্তনু রায় প্রশান্ত বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, তিনি বরিশাল জেলা নিয়ে কাজ করছেন। সেখানে জেলার সারথিদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে রয়েছে। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রী বাবুল চন্দ্র পাল অবগত আছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সবার সম্মিলিত প্রচেস্টায় বরিশালে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা যাবে। তিনি আরও বলেন যে, ইতিমধ্যে বরিশালে ৮টি, ফিরোজপুরে ৪টি এবং ঝালকাঠি জেলায় ২ টি গীতা নিকেতন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আরও কয়েকটি গীতা নিকেতনে প্রতিষ্ঠার জন্য চাহিদা আছে। তিনি বলেন যে, যেহেতু গীতা শিক্ষা দিন দিন প্রসার ঘটছে, তাই প্রতিটি গীতা নিকেতনে সুশিক্ষিত গীতা শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অনুরোধ জানান।

এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শ্রীমতি জয়মিতা দাস বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, সম্প্রতি তিনি প্রশান্ত রায় এবং বরিশালের সারথি অনিক মহুরীকে নিয়ে বরিশাল জেলার বানারীপুরের বিশারকান্দিতে একটি গীতা নিকেতন উদ্বোধন করতে গিয়েছেন। এজন্য তাদের ১২১ টি ব্রিজ এবং কালভার্ট পার হয়ে যেতে হয়। এতদূর পথ অতিক্রম করে গীতা নিকেতন উদ্বোধন করার পর তাদের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। তিনি বলেন, ভাল কাজ করার মধ্যে আনন্দ আছে। এজন্য সকল সারথিকে আন্তরিকভাবে কাজ করার অনুরোধ জানান। তিনি আরও বলেন যে, যেহেতু গীতা শিক্ষা অতি দ্রুত বাড়ছে এবং কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিনামূলে গীতা-খাতা প্রদান করা হচ্ছে, তাই আগামীতে খরচ কমানো জন্য প্রতিষ্ঠিত গীতা নিকেতনগুলোতে গীতা শিক্ষার্থীদের প্রদান করা গীতা উপকরণ সংরক্ষণ করার পরামর্শ দেন। এতে এক গ্রুপের কোর্স শেষ হলে নতুন গ্রুপ সেই গীতা উপকরণ দিয়ে গীতা শিক্ষা নিতে পারবে এবং তাতে কেন্দ্রীয় কমিটির আর্থিক চাপও কমে যাবে। তিনি প্রশান্ত রায়ের প্রস্তাবকে সমর্থন করে বলেন যে, প্রতিটি গীতা নিকেতনের জন্য প্রশিক্ষিত গীতা শিক্ষক নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন।

এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক উত্তম দাস বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, শারদাঞ্জলি ফোরামের সাংগঠনিক, ধমীয় এবং মানবিক কার্যক্রম দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। এটা খুবই ভালো সংবাদ। তবে এজন্য কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা সারথিদের আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে। শুধু মাত্র সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক কাজ করবে, তা নয়। তিনি এজন্য মান-অভিমান ভুলে সাবইকে কাজ করার অনুরোধ জানান। তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শ্রী রতন চন্দ্র পাল একটি পিতৃহারা মেয়েকে পাঠ্যবই দান করায় তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বরিশাল সদরে একটি গীতা নিকেতন প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব করেন।

এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সারথি শ্রী দ্বীপ রায় বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি সত্যিজিৎ রায়ের গীতা শিক্ষা বর্ষ ৪ বছর থেকে কমিয়ে ২ থেকে ৩ বছরে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেন। গীতা শিক্ষার পাশাপাশি গীতা নিকেতনগুলোতে বেদ, রামায়ণ, মহাভারত সহ অন্যান্য সনাতনী ধর্মগ্রন্থ সংযুক্ত করার প্রস্তাব করেন।

এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শ্রী রতন চন্দ্র পাল শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। শারদাঞ্জলি ফোরামের প্রাণপুরুষ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সভাপতি, যিনি সারা বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সার্বক্ষণিকভাবে তৃণমূলের সারথিদের সাথে যোগাযোগ রেখে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন শ্রী বাবুল চন্দ্র পাল, শারদাঞ্জলি ফোরামের তারুণ্যের অহংকার কেন্দ্রীয় কমিটির দক্ষ সাধারণ সম্পাদক শ্রী লিটন পাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক উদার মনের মানুষ শ্রী দিলীপ কুমার সাহা, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নিবেদিতপ্রাণ সারথি স্নেহের ছোট ভাই লোকনাথ ভৌমিক সহ উপস্থিত সকল সারথিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন যে, একটি সংগঠন গঠনতন্ত্রের আলোকে পরিচালিত হয়। যেহেতু শারদাঞ্জলি ফোরামের একটি শক্তিশালী গঠনতন্ত্র আছে, তাই অতি দ্রুত গঠনতন্ত্রটি ছাপানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন যে, অর্থ ছাড়া কোন সংগঠন পরিচালনা করা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নিজ উদ্যোগে তিন বছর পূর্বে একটি মাসিক ডোনার ফাণ্ড গঠন করেছিলেন। সারথিদের সহযোগিতার অভাবে এখনও সেটা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কেন্দ্রীয় কমিটি এবং জেলা কমিটির সারথি যারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল আছেন, তাদের মাসিক ডোনার ফাণ্ডে চাঁদা দেয়ার অনুরোধ জানান। কেন্দ্রীয় কমিটির সারথিদের মাসিক চাঁদাও সময়মত পরিশোধের জন্য অনুরোধ জানান। তিনি আরও বলেন যে, শারদাঞ্জলি ফোরামে যারা সারথি নির্বাচিত হয়েছেন, তারা সেবামূলক মানসিকতা নিয়েই কাজ করতে আসেন। তাই আমাদের সবাইকে মানব কল্যাণে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন যে, ঢাকা মহানগরের জন্য এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। আশা করি ইতিমধ্যে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের সাথে আলোচনা করে একটি কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব হবে। এছাড়া ঢাকা মহানগরে প্রতিটি থানায় যাতে কমিটি গঠন করা যায়, এব্যাপারেও তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। তিনি বলেন যে, সত্যজিৎ রায় গীতা শিক্ষার পাঠ্যক্রম প্রণয়ন নিয়ে যে প্রস্তাবনা দিয়েছেন, সেটার সাথে একমত পোষণ করেন। এবং এজন্য সত্যজিৎ রায়কে ধন্যবাদ জানান। পাঠ্যক্রম সংক্রান্ত খসড়া পাওয়া গেলে পরবর্তীতে কেন্দ্রীয়ভাবে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রক্তদান কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন যে, এই মানবিক কার্যক্রম খুব দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। যারা এই কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত আছেন, তাদের তিনি ধন্যবাদ জানান। রক্তদান কর্মসূচির জন্য একটি ফাণ্ড গঠন করার প্রস্তাব করেন তিনি। তিনি কেরানীগঞ্জ থেকে আগত সম্মানিত অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান। কেরানীগঞ্জে শারদাঞ্জলি ফোরামের কার্যক্রম শুরু করার জন্য তিনি তাদের সহযোগিতা কামনা করেন। লাঙ্গলবন্দ কর্মসূচি যাতে সফলভাবে সম্পন্ন করা যায়, এব্যাপারে তিনি তার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন যে, শারদাঞ্জলি ফোরাম এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের অধিকার নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে।

এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক শ্রী কার্তিক দাস বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, শারদাঞ্জলি ফোরামের উদ্যোগে গত চার বছর ধরে সেবাক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত লাঙ্গলবন্দে আগত পুণ্যার্থীদের মানবিক সেবা দিয়ে আসছে। আসন্ন পুণ্যস্নান উপলক্ষ্যে সেবাক্যাম্প স্থাপন করে যাতে সুন্দরভাবে সেবা পরিচালনা করা যায়, এব্যাপারে আজকে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শ্রী কল্লোল রায় বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, শারদাঞ্জলি ব্লাড ব্যাংক রক্তদান কর্মসূচি নিয়ে বিরতহীন কাজ করে যাচ্ছে। এটা একটা বিশাল কার্যক্রম। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। এটা ক্রমান্বয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে যাচ্ছে। রক্তদান কর্মসূচিকে সফলভাবে পরিচালনার জন্য একটি তহবিল প্রয়োজন। তার এবং পুস্পেন্দু মজুমদারের প্রস্তাবগুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন যে, আমরা যত মানবিক কাজ করি না কেন, আমাদের নিজস্ব একটি পরিচিত আছে- সেটা হলো আমরা সনাতনী। এটা যেত আমরা ভুলে না যাই। আমাদের নিজস্ব ধর্মীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতি, আচারগুলো যেন আমরা আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনে ব্যবহার করি। তিনি সারথিদের বছরে মাত্র ১২০ টাকা চাঁদা নিয়মিত পরিশোধ না করাটাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলেন। তিনি সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখার জন্য প্রতি বছর কেন্দ্রীয় কমিটি এবং জেলা কমিটিগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে তীর্থ ভ্রমণের প্রস্তাব দেন।

এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী লোকনাথ ভোমিক বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন যে, ফেসবুকে কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সভাপতি শ্রী বাবুল পালের সাথে পরিচয়ের মাধ্যমে শারদাঞ্জলি ফোরামে যোগদান। পরবর্তীতে অনেক সারথির সাথে পরিচয় হয় এবং তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিনি বলেন যে, সাংগঠনিক সম্পাদকের পদটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে যেভাবে দায়িত্ব পালন করার কথা, সেভাবে পালন করতে পারছে না। নানা কারণে কিছুটা হতাশা আছে। কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধু সারথির নিষ্ক্রিয়তায় তার উপরও প্রভাব ফেলেছে। এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নাই। তবে সংগঠন নিজস্ব গতিতেই চলে এবং শারদাঞ্জলি ফোরামও সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি জেলা সফর প্রসংগে বলেন যে, জেলা কমিটিগুলোকে আন্তরিকভাবেই গুরুত্ব সহকারে জেলা সফরের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির সারথিদের আমন্ত্রণ করতে হবে। যারা আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ করবে, সেই জেলায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে সফর করার প্রস্তাব করেন। বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রমে যতটুকু সম্ভব অনুদান দেয়ার চেষ্টা করে থাকেন বলে তিনি জানান। রক্তদান কর্মসূচির প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন আছে বলে জানান। সারথিদের মাসিক ১০ টাকা করে বছরে ১২০ চাঁদা মাত্র। এটা প্রতিটি সারথির পরিশোধ করার ক্ষমতা আছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি মাসিক চাঁদা এবং মাসিক ডোনার ফাণ্ডে নিয়মিত অনুদান দেবার জন্য সারথিদের অনুরোধ জানান। তিনি আরও বলেন যে, গত কয়েক বছরের মত ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য তিনি এবং তার বন্ধু সুমন রায় ২০০০ বাংলা ক্যালেণ্ডার ছাপিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন। লাঙ্গলবন্দ সেবা ক্যাম্পের ব্যাপারে তিনি বলেন যে, যেহেতু লাঙ্গলবন্দ নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত, তাই নারায়ণগঞ্জ জেলা এবং বন্দর উপজলো কমিটির সেবা ক্যাম্প করার সার্বিক দায়িত্ব থাকবে, কেন্দ্রীয় কমিটি পৃষ্ঠপোষতা করার প্রস্তাব দেন। তিনি আরও বলেন যে, বিভিন্ন জেলায় নতুন গীতা নিকেতন উদ্বোধন করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে যদি যাওয়া সম্ভব হয় যাবে, না-হলে স্থানীয়ভাবে সারথিগণ এলাকার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে উদ্বোধন করতে পারেন। তিনি আগামীতে আন্তরিকভাবে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে তার বক্তব্য সমাপ্ত করেন।

এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী দিলীপ কুমার সাহা বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি তার বক্তব্যের প্রথমেই যারা রক্তদান কর্মসূচি নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন তাদের স্যালুট জানান। এপ্রসংগে তিনি বলেন যে, তার একজন রোগীর জন্য যখন রক্তের প্রয়োজন হয়, তখন দিপালী সূত্রধর গাজীপুর থেকে রক্তদাতা জোগাড় করে রক্তদানের ব্যবস্থা করেন। এজন্য দিপালী সূত্রধরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন যে, ইতিমধ্যেই সাংঠনিক সফর শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম এবং ফরিদপুরে তরুণ সারথিরা সাংগঠনিক সফরে গিয়েছেন। আগামীতে বিভিন্ন জেলা সাংগঠনিক সফর চলবে। তিনি বলেন যে, অর্থ ছাড়া কোন সংগঠন চলে না। অর্থ ছাড়া কোন মানবিক এবং ধর্মীয় কর্মসূচি সফল করা যায় না। তিনি বর্তমান টাকার মূল্য এবং সাংগঠনিক ব্যয় বিবেচনা করে মাসিক চাঁদা ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করে বছরে ২৪০ টাকা করার প্রস্তাব করেন। মাসিক ডোনার ফাণ্ড সম্পর্কে তিনি বলেন যে, গত বছর মাসিক ডোনার ফাণ্ডে দায়িত্ব তাকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বার বার অনুরোধ করার সত্বেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অনেক সারথি মাসিক ডোনার ফাণ্ডে অর্থ পরিশোধ করেননি। যারা প্রতিশ্রুতি দেবেন, তাদের অবশ্যই চাঁদা দেয়া উচিত। আর যারা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন, তাদের ডোনার ফাণ্ড থেকে বাদ দেয়ার প্রস্তাব করেন। তিনি সত্যজিৎ চৌধুরীকে অন-লাইন ভিত্তিক মন্দির টিভি পরিচালনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানান। গীতা নিকেতনের সিলেবাস প্রণয়ন প্রসংগে তিনি বলেন যে, ইতিমধ্যে ৫ সারথি বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। তাদের প্রস্তবনা যাচাই-বাচাই করে চূড়ান্ত করা হবে। ঢাকা মহনগর কমিটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। মহানগর কমিটির সভাপতি শ্রী রতন পালের সাথে আলোচনা করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির জন্য একটি স্থায়ী কার্যলয় যাতে করা যায়, এজন্য তিনি একটি প্রস্তাবনা পেশ করেন। তিনি বলেন যে, যেহেতু বারদী লোকনাথ বাবার আশ্রম থেকেই শারদাঞ্জলি ফোরামের জন্ম, তাই বারদী বা সোনারগাঁও এর আশপাশে জায়গায় ক্রয় করে সেখানে কেন্দ্রীয় স্থায়ী অফিস নির্মাণ করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

এরপর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি শ্রী বাবুল চন্দ্র পাল বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি প্রথমে ১৯৫২ সালে ভাষা জন্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সেই সাথে পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহতদের জন্য শোক জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন যে, আজকের সভায় উপস্থিত সারথিগণের মধ্যে থেকে ১৮ জন সম্মানিত সারথি তাদের মূল্যবান বক্তব্য এবং মতামত প্রদান করেন। এজন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি কেরানীগঞ্জ এবং নারায়গঞ্জ বন্দর উপজেলা থেকে আগত পূজা উদযাপন পরিষদ এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সম্মানিত অতিথিবৃন্দকে আজকে সভায় এসে তাঁদের মূল্যবান বক্তব্য প্রদানের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানান। তিনি নবাবগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক দিলীপ সিদ্ধা এবং প্রবাসী সারথি তার সন্তান বিকাশ সিদ্ধাকেও সভায় আসার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রশান্ত রায়ের প্রস্তাবের সাথে একমন পোষণ করে বলেন যে, যেহেতু গীতা শিক্ষা শারদাঞ্জলি ফোরামের একটি অগ্রাধিকার কার্যক্রম এবং সারা বাংলাদেশে গীতা শিক্ষা দ্রুত প্রসার ঘটছে, তাই প্রতিটি গীতা নিকেতনের জন্য প্রশিক্ষিত গীতা শিক্ষক প্রয়োজন। এজন্য যারা এখন গীতা শিক্ষা দিচ্ছেন, তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। গঠনতন্ত্র ছাপানোর ব্যাপারে রতন পালের প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে বলেন যে, গঠনতন্ত্রের আলোকেই একটি সংগঠন পরিচালিত হয়। গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। বর্তমান গঠনতন্ত্রটি প্রতিটি জেলা কমিটির পরামর্শ নিয়ে আরও যাছাই-বাছাই শেষে কিছু সংশোধন বা সংযোজন করে ২০১৯ সালের মধ্যে যাতে বুকলেট আকারে ছাপানো যায় সে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। তিনি বলেন যে, কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, যিনি শারদাঞ্জলি ব্লাড ব্যাংক-এর রক্তদান কর্মসূচির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত আছেন, শ্রী পুস্পেন্দু মজুমদার তার কাছে কিছু প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন- যা আজকের সভায় লিটন পাল তার বক্তব্যে প্রস্তাবনাগুলো সভাকে অবহিত করেছেন। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে সব প্রস্তাবনা একসাথে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। তবে মাসিক কিছু অর্থ বরাদ্দ সহ আরও কিছু প্রস্তাবনা গ্রহণ করা যেতে পারে। কেন্দ্রীয় সম্মেলন সম্পর্কে কল্লোল রায়ের প্রস্তাবের ব্যাপারে তিনি বলেন যে, প্রতি বছর সম্মেলন করার জন্য লোকবল এবং অর্থ বল দুইটির অভাব আছে। তাছাড়া অতীতে দুটি সম্মেলন করতে গিয়ে আমাদের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাই প্রতি বছর সম্মেলন না-করে প্রতি তিন বছর পর পর কেন্দ্রীয় সম্মেলন করা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন যে, প্রতি বছর সম্মেলন করার চেয়ে কেন্দ্রীয় সারথিদের মাঝে মাঝে জেলা সফর অনেক ফলপ্রসূ হবে তিনি মনে করেন। এতে জেলা কমিটিগুলোর সাথে যোগাযোগ যেমন বাড়বে, তেমনি জেলার সারথিগণও কাজ করতে আরও বেশি উৎসাহিত হবেন। নিকেতন দে প্রস্তাবিত চট্টগ্রামের কুম্ভ মেলা সম্পর্কে বলেন যে, যেকোন উৎসব, পার্বণে, ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থানে সেবা ক্যাম্প করার ক্ষেত্রে জেলা কমিটিগুলোকেই উদ্যোগ নিতে হবে। কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া যেতে পারে। শান্তুনু রায় প্রশান্ত কর্তৃক বরিশাল জেলা সম্পর্কে যে বক্তব্যে দিয়েছেন, তিনি তার সাথে একমত পোষণ করে বলেন যে, বরিশাল জেলা অনিক মুহুরী খুবই আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন। মলয় ঘটক এবং সুমন গুহও কাজ করছেন। তবে তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে। ইতিমধ্যে তাদের সাথে কয়েক দফা টেলি-কনফারেন্স করা হয়েছে বলে তিনি সভাকে অবহিত করেন। আশা করি আগামী মাসে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। দিলীপ কুমার সাহা কর্তৃক মাসিক চাঁদা ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করার প্রস্তাবকে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে আগামীতে সিদ্ধান্ত নেয়ার আশ্বাস দেন। এ প্রসংগে তিনি বলেন যে, কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষের তথ্য মতে কেন্দ্রীয় কমিটির মোট ২৫২ জন সারথির মধ্যে মাত্র ১৮৭ জন সারথি তাদের মাসিক চাঁদা পরিশোধ করেছেন। এখনও ৬৫ জন সারথি মাসিক চাঁদা পরিশোধ করেননি। এটা খুবই হতাশাজনক খবর। এক বছর তথা ১২ মাসের সারথি চাঁদা মাত্র ১২০ বা ১৪০ টাকা। ইচ্ছা করলেই সারথিরা সহজেই এই চাঁদা পরিশোধ করে দিতে পারেন। তিনি সারথিদের বাৎসরিক চাঁদা পরিশোধ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান। তিনি আরও বলেন যে, গীতা শিক্ষায় যেহেতু প্রতি বছর বিশাল অংকের টাকা আমাদের ব্যয় করতে হচ্ছে, তাই এ ব্যয় সংকুলানের জন্য একটি মাসিক স্থায়ী ডোনা ফান্ড সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি এবং দিলীপ সাহা ইতিমধ্যে প্রত্যেক সারথিকে ফোনে অনুরোধ করেছেন এবং ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ দিয়েছেন। অনেক সারথিই ২০১৮ সালের মাসিক ডোনার ফান্ডের চাঁদা পরিশোধ করেননি। এখন ২০১৯ সাল। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মাসিক ডোনার ফান্ডের অনুদান পরিশোধের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির সারথিদের তিনি বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন যে, একটি সংগঠনে যখন ২০ লাখ, ৩০ বা ৫০ লাখ টাকা কেন্দ্রীয় ফাণ্ডে জমা থাকে, তাহলে সেই সংগঠনের আর্থিক ভিত মজবুদ বলে নিশ্চিত বলা যাবে। কিন্তু যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ফাণ্ডে ১ থেকে ১০ লাখ টাকা জমা থাকে, সেটাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়। শারদাঞ্জলি ফোরামের কেন্দ্রীয় ফাণ্ডে বর্তমানে যে অর্থ আছে, সেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যান্য সকল সনাতনী সংগঠন থেকে শারদাঞ্জলি ফোরামের চলমান খরচ অনেক বেশী। এর অন্যতম কারণ গীতা শিক্ষা। গীতা সামগ্রী ছাপানোর জন্য বছরে কেন্দ্রীয় ফাণ্ড থেকে ৬ লাখ টাকার উপরে খরচ করতে হচ্ছে। তাই কেন্দ্রীয় ফাণ্ড শক্তিশালী করার কোন বিকল্প নাই। এজন্য মাসিক ডোনার ফাণ্ড কার্যকর করতে হবে। তিনি দুঃখ করে বলেন যে, কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদ আছে। কিন্তু অনেকেই তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করছেন না। প্রচার সম্পাদক পদ ফেসবুকে প্রচারণার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়। একমাত্র সহ-প্রচার সম্পাদক উত্তম কুমার দাস একাই ফেসবুকে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ শারদাঞ্জলি ফোরামই একমাত্র সংগঠন, ধর্ম শিক্ষার পাশাপাশি, রক্তদান কর্মসূচি সহ বহুমাত্রিক মানবিক কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় হিন্দু মহাজোট এবং জাগো হিন্দু পরিষদের কর্মীরা যেভাবে ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছে, তার অর্ধেকও শারদাঞ্জলি ফোরামের সারথিরা ফেসবুকে প্রচরণা চালায় না। তিনি রতন পাল এবং লিটন পালের সাথে একমত পোষণ করে বলেন যে, কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ অনেক সারথি নিস্ক্রয়। সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সকল সারথির সাথে, প্রধান সমন্বয়ক জেলা কমিটিগুলোর সাথে, সাংগঠনিক সম্পাদক বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং যুগ্ম-সাংঠনিক সম্পাদকদের সাথে, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকগণ সাধারণ সম্পাদকের সাথে সমন্বয় করে যদি কাজ করেন, প্রচার সম্পাদক এবং সহ-প্রচার সম্পাদকগণ যদি ফেসবুকে নিয়মিত ফোরামের ধর্মীয় ও মানবিক কর্মকাণ্ডগুলো প্রচার করেন, তাহলে ফোরামের কর্মকাণ্ডে আরও অনেক বেশী গতি পাবে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন। তিনি আরও বলেন যে, শারদাঞ্জলি ফোরাম অনন্তকাল কাজ করবে। প্রবীণেরা একসময় অবসর নিবেন, তখন নবীনেরা গুরুত্বপূর্ণ পদে আসবে। সংগঠনের মান-অভিমানের কোন স্থান নেই। পরিবার, সন্তান, স্বজনদের সাথে অভিমান করা যায়। সংগঠনের সাথে নয়। যারা নিরব হয়ে যাবে, তার একদিন হারিয়ে যাবে। কেউ তাদের অতীতে তাতে অবদানের কথা মনেও রাখবে না। তিনি তার নিজের উদাহরণ দিয়ে বলেন যে, আজ যদি তিনি ফোরাম থেকে অভিমান করে বের হয়ে যান, ৬ মাস পর তাকে সবাই ভুলে যাবে। এটাই বাস্তবতা, এটাই নির্মম সত্য। তিনি আরও বলেন, আজ তিনি বড় পদে আছেন, আগামীতে একজন সারথি হিসেবে থাকলেও আজকে যেভাবে কাজ করছেন, আগামীতে একইভাব আমৃত্যু ফোরামে কাজ করে যাবেন বলে অঙ্গীকার করেন। তিনি আবারও সকল সারথিকে মান-অভিমান ভুলে একসাথে কাজ করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি সবার মঙ্গল কামনা করে তার বক্তব্য শেষ করেন।

Image may contain: 5 people, including Dilip Kumar Saha and Liton Chandra Paul, people smiling, people sitting
Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »