about

Photograph of Babul Paul 1

সভাপতির বাণী


“সনাতনী সেতুবন্ধনে কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সত্য ও শান্তির অন্বেষণে তারুণ্যের অভিযাত্রা”- এই শ্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে গত নভেম্বর ১, ২০১৪ তারিখ থেকে এই ফোরামের যাত্রা শুরু হয়। শারদাঞ্জলি ফোরাম সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। আমরা এ ফোরামের কেউ সদস্য নই- সারথি। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সারথি। অর্জুনের মত। সনাতন ধর্ম শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম, কল্যাণের ধর্ম। তাই আমরা সনাতনী চেতনাকে অন্তরে ধারণ করে ধর্মীয় ও মানব কল্যাণে ব্রতী হয়েছি। আমরা অতি অল্প সময়ে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে অসংখ্য মানুষের কাছে শারদাঞ্জলি ফোরামের বার্তা পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছি। এ কৃতিত্ব শারদাঞ্জলি ফোরামের সকল সারথির। এছাড়াও প্রযুক্তি আমাদের অনেক সহায়তা দিতে যাচ্ছে। আমরা অন-লাইনের মাধ্যমে সারা বিশ্বব্যাপী শারদাঞ্জলি ফোরামের সকল মহতী কর্মকাণ্ডের কার্যক্রম জানিয়ে দিতে পারছি।

যেহেতু প্রযুক্তির কল্যাণে প্রচারের ক্ষেত্রে আমরা অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি, তাই আমরা অনুধাবন করলাম- আমাদের নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকা খুবই প্রয়োজন। উক্ত ওয়েবসাইটে শারদাঞ্জলি ফোরামের পরিচিতি সহ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের বাইরে আমরা যে কার্যক্রম পরিচালনা করছি- তার বিস্তারিত তথ্য, প্রমাণ্যচিত্র, আমাদের কমিটির তালিকা সহ অন্যান্য তথ্য থাকবে। এব্যাপারে নিঃশর্তভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ শ্রী সত্যজিৎ চৌধুরী। তিনি দায়িত্ব নিলেন এই ওয়েবসাহট তৈরি করার। এজন্য শারদাঞ্জলি ফোরামের পক্ষ থেকে তাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শারদাঞ্জলি ফোরামের ওয়েবসাহটটি অনেক তথ্য সমৃদ্ধ হবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমি শ্রী সত্যজিৎ চৌধুরীর সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।

জয় সনাতন ধর্মের জয়, জয় শারদাঞ্জলির জয়, জয় মানবতার জয়।

বাবুল চন্দ্র পাল

সভাপতি, শারদাঞ্জলি ফোরাম

কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি


Rules & Regulation

শারদাঞ্জলি ফোরাম-এর গঠনতন্ত্র


১.০  উদ্দেশ্য ও আদর্শ

                শারদাঞ্জলি ফোরাম বাংলাদেশে বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে গঠিত সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। সমাজের সর্বস্তরের সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী/পুরুষগণ সদস্যপদ লাভের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের সকল ধর্মীয়, মানবিক এবং সেবামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। নিম্মলিখিত উদ্দেশ্য ও আদর্শ নিয়ে এই ফোরাম গঠিত হয়েছে ।

১.১     সনাতন ধর্মের মাহাত্ম্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে ফোরামের মাধ্যমে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর সর্বত্র প্রচার চালানো।

১.২     শারদাঞ্জলি ফোরাম-এর মূল শ্লোগান- “সনাতনী সেতুবন্ধনে কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সত্য ও শান্তির অন্বেষণে তারুণ্যের অভিযাত্রা” ।

১.৩     শারদাঞ্জলি ফোরাম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির দিকনির্দেশনায় ফোরামের জেলা কমিটির মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল জেলায় গ্রাম ও শহরে বসবাসকারী সনাতন ধর্মাবলম্বী গরীব এবং মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি চালু করা।

১.৪     দুর্গাপূজা, কালীপূজা সহ অন্যান্য ধর্মীয় পাবর্ণে রাজসিক এবং তামসিক পূজা বর্জন করে স্বাত্বিকী পূজা আয়োজনের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। সকল দেবীর প্রতিমা প্রকৃত মায়ের আদলে তৈরি করে পূজা করা। দেবীর প্রতিমা যেন বিকৃত কোন কাল্পনিক নারীর আদলে তৈরি না করা হয়- এব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা। সর্বজনীন সকল পূজায় মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষণ যাতে না-হয় তদভিলক্ষ্যে প্রচারণা চালানো।

১.৫     বাংলাদেশ সহ বিশ্বের যেসব অঞ্চলে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বসবাস করছেন, সেসব অঞ্চলে মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া, মন্দির প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েরা যাতে কোন প্রলোভনে পড়ে ধর্মান্তরিত না হয়, এব্যাপারে সামাজিক ও ধর্মীয় সচেতনতা গড়ে তোলা।

১.৬     হিন্দু সম্প্রদায়ের দরিদ্র মেধাবী ছেলে-মেয়েরা, যারা আর্থিক অনটনের কারণে লেখা-পড়া চালিয়ে যেতে অক্ষম, তাদেরকে ফোরামের উদ্যোগে আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করা। স্ব স্ব এলাকায় বিভিন্ন মন্দিরের পবিত্রতা এবং মন্দিরে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রাখার ব্যাপারে সচেতনা সৃষ্টি করা ।

১.৭     ফোরামের মাধ্যমে ধাপে ধাপে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরে একটি করে অনাথ আশ্রম এবং বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তোলার ব্যবস্থা করা।

১.৮     সমাজে বাল্যবিবাহ এবং নারী নির্যাতন রোধে ফোরামের পক্ষ থেকে সর্বাÍক সহযোগিতা সহ সচেতনতা গড়ে তোলা।

১.৯     সমাজের নানাবিধ সেবামূলক কর্মকান্ড- যেমন বিবাহ, মৃতদেহ সৎকার, শ্রাদ্ধাদি, বিভিন্ন ধর্মীয় পর্বে সক্রিয় অংশগ্রহণ, গ্রামীণ রাস্তাঘাট সংস্কার, বৃক্ষ রোপন, রক্তদান, স্বাস্থ্য সেবা কর্মসূচি ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সামাজিক দায়িত্ব পালন করা।

১.১০   যুব সমাজের চারিত্রিক অবক্ষয়, অলসতা, অকর্মন্যতা এবং বিকৃত মানসিকতা রোধকল্পে ফোরামের অফিসে ধর্মীয় বইপত্র সংরক্ষণ, সদস্যদের নিয়মিত পাঠে উদ্ভুদ্ধকরণ, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ও ধর্মীয় পার্বণে প্রকাশনার ব্যবস্থা করা, সংগীতানুষ্ঠানের অয়োজন, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ আলোচনা সভা আয়োজনের মাধ্যমে যুব সমাজের জ্ঞানার্জনের পথ সুগম করে মননশীল, সুস্থ, সুন্দর ও নির্মল চরিত্র গঠন এবং মেধা বিকাশের ব্যবস্থা করা।

১.১১   অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার প্রতি, জাতীয় পতাকার প্রতি, ভাষা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা ও জাতীয় দিবসগুলো যথাযথভাবে উদ্যাপন করা।

১.১২   নিজ ধর্ম পালন, ধর্মীয় শিক্ষা এবং ধর্মীয় চেতনার আলোকে চরিত্র গঠন করার পাশাপাশি সকল ধর্মের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করা।


২.০  সদস্যপদ লাভের নিয়মাবলী

২.১     সমাজের ১৮ (আঠার) বছর বয়স থেকে তদূর্ধ্ব বয়সের যে কোন নারী/পুরুষ এই ফোরামে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটি কর্তৃক নিয়মাবলী  মেনে চলতে যদি রাজী থাকেন –

২.২     যদি ফোরামে আদর্শ ও উদ্দেশ্যের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে স্বক্রিয়ভাবে তা বাস্তবায়নের জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হন এবং

২.৩    যদি ফোরাম কর্তৃক নির্ধারিত এককালীন বা নিয়মিত চাঁদা দিতে রাজী হন তা‘হলে এই ফোরামের সদস্য হতে পারবেন।

Registration Click Now


৩.০    সদস্যদের কর্তব্য এবং দায়-দায়িত্ব

৩.১     প্রত্যেক সদস্যকে অবশ্যই ফোরামের প্রতি অনুগত থাকতে হবে।

৩.২    প্রত্যেক সদস্যকে উদ্যমী, উদ্যোগী, ধৈর্যশীল, শান্তিপ্রিয় এবং সৎ চরিত্রের অধিকারী হতে হবে।

৩.৩    রাষ্ট্রদ্রোহী এবং সমাজে যা নিন্দনীয় বলে বিবেচিত এমন কোন কাজের সাথে কোন সদস্য জড়িত থাকতে পারবেন না।

৩.৪    বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি আইনের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির সুফল-কুফল এবং এই প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে সদস্যদের ভালভাবে জানতে হবে।

৩.৫    নিজ ধর্মের প্রতি আনুগত্য থাকার পাশাপাশি অন্য ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। অন্য ধর্ম সম্পর্কে কোনরূপ বিরুপ মনোভাব বা কটাক্ষ্য করে ফেস বুক, টুইটার, ব্লগ বা অন্য কোথাও কিছু লেখা বা বিবৃতি দেয়া যাবে না।

৩.৬    ফোরামে কোন দলাদলির সৃষ্টি এবং শান্তি বিঘ্নিত হয়- এমন কোন কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারবে না। ফোরামের স্বার্থ ক্ষুন্ন হয় বা ফোরামের সুনাম নষ্ট হয় এমন কোন কাজে লিপ্ত থাকতে পারবে না।

৩.৭    সাধারণ সভা অথবা বিশেষ সভায় সদস্যদের উপস্থিতিতে কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভর্ত্তি ফি, মাসিক চাঁদা এবং এককালীন চাঁদা নির্ধারণ করা হবে। কমিটি কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফোরামে সম্মানিত সদস্যগণ ভর্ত্তি ফি, মাসিক চাঁদা এবং এককালীন চাঁদা দিতে বাধ্য থাকবেন।

৩.৮    প্রত্যেক মাসের ১০ তারিখের মধ্যে সদস্যদেরকে মাসিক চাঁদা দিতে হবে। সময়মত মাসিক চাঁদা পরিশোধ না-করলে প্রতি মাসে নির্ধারিত চাঁদার অতিরিক্ত ২(দুই) টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।

৩.৯    কোন সদস্য/সদস্যা ফোরামের নির্দিষ্ট নিয়মাবলি না-মানলে বা মাসিক চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি উক্ত সদস্য/সদস্যার সদস্যপদ সাময়িকভাবে বাতিল করতে পারবে। বাতিল আদেশের তারিখ হতে ১৫ দিনের মধ্যে জরুরি সাধারণ সভার আয়োজন করে বিষয়টি সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটের মাধ্যমে অনুমোদনের পর উক্ত সদস্য/সদস্যার সদস্যপদ বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে। সদস্যপদ বাতিলের পর উক্ত সদস্য/সদস্যা ফোরামের কোনরূপ কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না।

৩.১০   কোন সদস্য/সদস্যা কর্তৃক ফোরামের নিয়মাবলি না-মানার কারণে অথবা ফোরাম বিরোধী কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার কারণে যদি সংগঠন থেকে অব্যহতি দেয়া হয় অথবা কোন সদস্য/সদস্যা স্বেচ্ছায় ফোরাম থেকে পদত্যাগ করেন, তাহলে উক্ত সদস্য/সদস্যা ফোরাম এবং ফোরামের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন অন-লাইন পেজ/গ্র“পের কোনরূপ কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা দাবি করে ফোরাম ও অন-লাইন পেজ/গ্র“পের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।


৪.০     নির্বাচন পদ্ধতি

৪.১     প্রতি ৩ (তিন) বছর পর পর ফোরামের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

৪.২     নতুন কমিটি গঠন করার উদ্দেশ্যে সাংগঠনিক মেয়াদ ৩ বছর শেষ হওয়ার ৯০ দিন পূর্বে কমিটির বাইরে থেকে উপযুক্ত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচন পরিচলানা কমিটি গঠন করতে হবে। একটি ত্রিবার্ষিক সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বা নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটি এবং/অথবা বিষয় নির্ধারণী কমিটি (ঝঁনলবপঃ ঈড়সসরঃঃবব) নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহয়তা প্রদান করবে।

সমন্বয় ও সমঝোতার মাধ্যমে গঠিত একক প্যানেল উপস্থাপনপূর্বক নির্বাচন কমিশন/নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে নতুন কমিটি ঘোষণা করা যাবে। প্রয়োজনে কেবল ফোরামের সাধারণ সদস্যগণ কর্তৃক গোপন ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন/নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নিয়ন্ত্রণে ৩ বছর মেয়াদী নতুন কমিটি গঠিত হবে।

৪.৩    ফোরামকে প্রদেয় সকল প্রকার চাঁদা ও অন্যান্য দেয় পরিশোধ না করা পর্যন্ত কোন সদস্য কোন সভায় ভোট প্রদান করতে অথবা তাঁদের মতামত প্রকাশ করতে পারবেন না।

৪.৪     গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন হলে একজন সদস্য প্রতিটি পদে একটি করে ভোট প্রদান করতে পারবেন।

৪.৫     কমিটির যে কোন সদস্য পরবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে পুনঃনির্বাচিত হতে পারবেন। তবে পর পর ২ (দুই) বারের বেশি কেউ একই পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না।

৪.৬     কমিটির সদস্যদের মধ্যে হঠাৎ কারো মৃত্যুজনিত অথবা স্ব-ইচ্ছায় পদত্যাগের কারণে আকস্মিকভাবে কোন পদ শূন্য হলে কমিটির সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচিত অথবা সাধারণ সদস্যদের মধ্য হতে একজনকে সাময়িকভাবে উক্ত পদে ৩(তিন) মাসের জন্য দায়িত্ব দেয়া যাবে। এরূপ মনোনীত সদস্যকে ফোরামের পরবর্তী সাধারণ সভায় অবশ্যই অবসর গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু উক্ত সদস্য পুনঃনির্বাচনের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন।

৪.৭     শারদাঞ্জলি ফোরাম-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের পর প্রত্যেক মহানগর এবং প্রত্যেক জেলায় একটি করে কমিটি গঠন করা হবে। ফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নির্দেশ মোতাবেক যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মহানগর এবং জেলা কমিটি গঠিত হবে।

৪.৮    মহানগর এবং জেলা কমিটি গঠনের পর পর্যায়ক্রমে উপজেলা, থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠিত হবে। মহানগর এবং জেলা কমিটি উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠনে সহয়তা করবে। প্রয়োজনে সময়ে সময়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির দির্কনির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা, থানা এবং ইউনিয়ন কমিটির সাথে মত বিনিময় সহ ফোরামের সাবির্ক কার্যক্রম বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করে যাবে।

৪.৯     কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি সময়ে সময়ে যেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, মহানগর এবং জেলা কমিটিগুলো সেসব বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।

৪.১০   কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এবং বাংলাদেশের বাইরে বসবাসরত ফোরামের যেসব সদস্য অবস্থান করছেন তাদের নিয়ে। নানা জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থানের কারণে ফোরামের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালিনার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। এ বিবেচনায় ফোরামের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে ঢাকা মহানগরের জন্য একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করতে হবে। ঢাকা মহানগর কার্যনির্বাহী কমিটি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিকে ফোরামের কার্যক্রম সফল করার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করবে। এক্ষেত্রে ঢাকা মহানগর কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতিবৃন্দ, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সম মযাদায় গণ্য হবেন ।

৪.১১   এই গঠনতন্ত্র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মত মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটির জন্যও সমভাবে প্রযোজ্য হবে।


৫.০   কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক কাঠামো বিন্যাসঃ

   শারদাঞ্জলি ফোরাম-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি নিমোক্তভাবে গঠিত হবে

ক্রমিক নং পদের নাম পদের সংখ্যা
১. সভাপতি ১ জন
২. সহ-সভাপতি ১০ জন
৩. সাধারণ সম্পাদক ১ জন
৪. যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ১-৫ জন
৫. সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন
৬. যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক ১-৫ জন
৭. প্রধান সমম্বয়ক ১ জন
৮. যুগ্ম-সমম্বয়ক ১-৫ জন
৯. প্রচার সম্পাদক ১ জন
১০. সহ-প্রচার সম্পাদক ১-৫ জন
১১. কোষাধ্যক্ষ ১ জন
১২. সহ-কোষাধ্যক্ষ ২ জন
১৩. সাহিত্য সম্পাদক ১ জন
১৪. সহ-সাহিত্য সম্পাদক ১-৫ জন
১৫. সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১ জন
১৬. সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১-৫ জন
১৭. সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ১ জন
১৮. সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ১-৫ জন
১৯. দপ্তর সম্পাদক ১ জন
২০. সহ-দপ্তর সম্পাদক ১-৫ জন
২১. ক্রীড়া সম্পাদক ১ জন
২২. সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ১-৫ জন
২৩. ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
২৪. সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ১-৫ জন
২৫. আইন বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
২৬. সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ১-৫ জন
২৭. স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
২৮. সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ১-৫ জন
২৯. বার্তা ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
৩০. সহ-বার্তা ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১-৫ জন
৩১. মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
৩২. সহ-মহিলা সম্পাদক ১-৫ জন
৩৩. ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
৩৪. সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ১-৫ জন
৩৫. প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
৩৬. সহ-প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ১-৫ জন
৩৭. মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
৩৮. সহ-মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক ১-৫ জন
৩৯. তীর্থভ্রমণ বিষয় সম্পাদক ১ জন
৪০. সহকারী তীর্থভ্রমণ বিষয় সম্পাদক ১-৫ জন
৪১. নির্বাহী সদস্য ৫০ জন
৪২. সাধারণ সদস্য অসীম
৪৩. উপদেষ্টামন্ডলীর সম্মানিত সদস্যবৃন্দ ১ থেকে সর্বোচ্চ ২০ জন

উল্লেখ্য যে, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ১৫১ সদস্য, মহানগর কমিটি ১০১ সদস্য বিশিষ্ট, জেলা-থানা-উপজেলা কমিটি ৫১ সদস্য এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি ৩১ সদস্য বিশিষ্ট হবে। তবে সহ-সভাপতি পদে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে সর্বোচ্চ মোট ১০ জন থাকবে। এরমধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে ৩ জন এবং ৭ মহানগরী থেকে ৭ জনকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা যাবে। মহানগর, জেলা কমিটিতে সহ-সভাপতি সর্বোচ্চ ৫ জন, থানা, উপজেলা কমিটিতে ৩ জন এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিতে ২ জন সহ-সভাপতি পদে রাখা যাবে।


৬.০     কমিটির সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য

৬.১     সভাপতি

সভাপতি কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককে ফোরামের সভা আহ্বানের অনুমতি প্রদান করবেন। সভায় সভাপতি প্রতিটি সভার সভাপতিত্ব করা সহ ফোরামে নির্বাহী দায়িত্ব পালন করবেন। সভাপতি হবেন অত্যন্ত ধৈর্যশীল, উদার, তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেয়ার মত তীক্ষ্ম বুদ্ধির অধিকারী এবং দলাদলির উর্ধ্বে মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন ব্যক্তিত্ববান মানুষ। ফোরামের সকল সৃজনশীল, গঠনমূলক এবং উন্নয়নমূলক সকল কর্মকাণ্ডে পরামর্শ দেয়া, উৎসাহিত করাসহ সার্বিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন।

৬.২     সহ-সভাপতি

সভাপতির অনুপস্থিতিতে ফোরামের সভার অনুমতি প্রদান, সভায় সভাপতিত্ব করা, সভাপতির নানাবিধ কাজে সহযোগিতা করাসহ ফোরামের সার্বিক কর্মকান্ডে সহ-সভাপতিগণ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন।

৬.৩    সাধারণ সম্পাদক

সভাপতির অনুমতিক্রমে ফোরামের বিভিন্ন সভা আহ্বান করা, সদস্যদের সাংগঠনিক এবং সমাজসেবামূলক কাজে উদ্বুদ্ধ করা, ফোরামের নিয়ম-শৃঙ্খলার প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা, সরঞ্জামাদি সুষ্ঠুভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করাসহ ফোরামে সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে। তাঁকেও অত্যন্ত ধৈর্যশীল, কঠোর পরিশ্রমী, উদার, দলাদলির উর্ধ্বে থেকে কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির সদস্যসহ সকল সদস্যের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে যেতে হবে।

৬.৪     যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব হলো সাধারণ সম্পাদকের সকল কাজে সহযোগিতা করা। সাধারণ সম্পাদকের অবর্তমানে অথবা তাঁর সম্মতিক্রমে ফোরামের বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করা।

৬.৫     সাংগঠনিক সম্পাদক

একটি সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব অপরিসীম। সংগঠনের ভিত্তি মজবুত করা, সংগঠনের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কোন কাজ হতে সদস্যদের বিরত রাখা, সদস্যদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি করা, ফোরামের সুনাম বৃদ্ধির চেষ্টা করা, সদস্য সংগ্রহ করাসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির সদস্যদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা এবং ফোরামের সকল কাজে সহযোগিতা করা।

৬.৬     যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক

যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব হলো সাংগঠনিক সম্পাদকের সকল কাজে সহযোগিতা করা। সাংগঠনিক সম্পাদকের অবর্তমানে অথবা তাঁর সম্মতিক্রমে ফোরামের বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করা।

৬.৭     প্রধান সমন্বয়ক

প্রধান সমন্বয়ককেও ফোরামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাঁকে সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হবে। ফোরামের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নানাবিধ কর্মকাণ্ডে সমন্বয় সাধনের জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকা এবং ফোরামের সার্বিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা।

৬.৮    যুগ্ম-সমন্বয়ক

যুগ্ম-সমন্বয়ক প্রধান সমন্বয়কের সকল কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এবং ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন।

৬.৯     প্রচার সম্পাদক

অন্যান্য পদের মত প্রচার সম্পাদকেরও দায়িত্ব অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ফোরামের উদ্দেশ্য ও আদর্শ ফোরামের সদস্যসহ সমাজের সর্বস্তরের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে প্রচারের মাধ্যমে সংগঠনের সুনাম বৃদ্ধি করা, সদস্য হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা, সদস্যদের সংগঠনের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন, আইন-শৃংখলা মেনে চলার ব্যাপারে সচেতনতার সৃষ্টির ব্যবস্থা নেয়া প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব।

৬.১০   সহ-প্রচার সম্পাদক

সহ-প্রচার সম্পাদক প্রচার সম্পাদকের সকল কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এবং প্রচার সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে প্রচার সম্পাদকের সকল দায়িত্ব পালন করবেন।

৬.১১   কোষাধ্যক্ষ  

ফোরামের যাবতীয় অর্থের সংরক্ষণ ও প্রয়োজনমত তা প্রদান করা, সুষ্ঠুভাবে হিসাব-নিকাশ সংরক্ষণ করা, ব্যাংকে সময়মত টাকা-পয়সা জমা রাখা এবং সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে সময়ে সময়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা ইত্যাদি কার্য সম্পাদন করবেন। কোষাধ্যক্ষকে অবশ্যই সৎ চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। টাকা-পয়সা লেন-দেন এবং হিসাব-নিকাশ সংরক্ষণে অভিজ্ঞ হতে হবে।

৬.১২   সহ-কোষাধ্যক্ষ

সহ-কোষাধ্যক্ষ কোষাধ্যক্ষের যাবতীয় কাজে সহযোগিতা করবেন এবং কোষাধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে কোষাধ্যক্ষের পক্ষে যে যে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব তা পালন করবেন।

৬.১৩   সাহিত্য সম্পাদক

ফোরামে সাহিত্য সম্পাদকের দায়িত্বও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় জ্ঞান এবং ধর্মীয় ইতিহাস, ঐতিহ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং অন্যান্য বইপত্র সংগ্রহ করতে হবে- যা সদস্যদের জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে সহযোগী হবে। এছাড়া বইপত্র সংরক্ষণ করাসহ ফোরামের সদস্যদের বই পড়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ে একটি করে লাইব্রেরী গড়ে তোলার ব্যাপারে সবাইকে উদ্ভুদ্ধ করতে হবে এবং ফোরামের সার্বিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন।

৬.১৪   সহ-সাহিত্য সম্পাদক

সহকারী সাহিত্য সম্পাদক সাহিত্য সম্পাদকের যাবতীয় কাজে সহযোগিতা করাসহ ফোরামের সার্বিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন এবং সাহিত্য সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন।

৬.১৫   সাংস্কৃতিক সম্পাদক

দেশের জাতীয় দিবসে, ধর্মীয় পার্বণে দেয়াল পত্রিকা এবং স¥রণিকা প্রকাশে উদ্ভুদ্ব করা, সদস্যদের ধর্মীয় বিষয়ে ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নানা সামাজিক সমস্যা এবং সমাধানের বিষয় নিয়ে লেখার ব্যাপারে উৎসাহিত করা, কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন পার্বণে/উৎসবে ধর্মীয়/সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানাবিধ অনুষ্ঠান আয়োজন করার ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়া, কমিটির পরামর্শক্রমে ফোরামের কেন্দ্রীয় এবং জেলা অফিসে দৈনিক/সাপ্তাহিক অথবা উভয় পত্রিকা রাখার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব থাকবে সাংস্কৃতিক সম্পাদকের উপর। এছাড়া তিনি ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন।

৬.১৬   সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক

সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাংস্কৃতিক সম্পাদকের সকল কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন।

৬.১৭   সমাজ কল্যাণ সম্পাদক  

সামাজিক বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজ তথা সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সদস্যদের মানুষের কল্যাণে ফোরামের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধর্মীয়, মানবিক ও সৃজনশীল কাজে অংশগ্রহণে উদ্ভুদ্ধ করা এবং ফোরামের সার্বিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা সমাজ কল্যাণ সম্পাদকের মূল দায়িত্ব।

৬.১৮   সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক  

সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সমাজ কল্যাণ সম্পাদকের সকল কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করাসহ ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন এবং সমাজ কল্যাণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সমাজ কল্যাণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।

৬.১৯   দপ্তর সম্পাদক

ফোরামের বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে বিশেষ করে ফোরামের সভার আয়োজনে সাধারণ সম্পাদককে সাহায্য করা সহ নথি-পত্র এবং আসবাবপত্র সংরক্ষণ করা ও ফোরামের সার্বিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা দপ্তর সম্পাদকের মূল দায়িত্ব।

৬.২০   সহ-দপ্তর সম্পাদক  

দপ্তর সম্পাদকের সকল কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন সহ-দপ্তর সম্পাদক এবং দপ্তর সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সাথে ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন।

৬.২১   ক্রীড়া সম্পাদক  

বিভিন্ন খেলাধুলার সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করা, সদস্যদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করা, কমিটির পরামর্শক্রমে মাঝে মাঝে প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলার আয়োজনের মাধ্যমে সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সাধনের উদ্যোগ নেয়া ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্ব। এছাড়া তিনি ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন।

৬.২২   সহ-ক্রীড়া সম্পাদক

সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ক্রীড়া সম্পাদকের সকল কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করাসহ ফোরামে সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন এবং ক্রীড়া সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন।

৬.২৩  ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় জ্ঞান এবং ধর্মীয় ইতিহাস, ঐতিহ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট বইপত্র সংগ্রহ করা, ধর্মীয় বই সংরক্ষণ করাসহ ফোরামের সদস্যদের বই পড়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করা, ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনে সদস্যদের উদ্বুদ্ধ করাসহ ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন।

৬.২৪   সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক

ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের সকল কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করাসহ ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন এবং ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন।

৬.২৫   আইন বিষয়ক সম্পাদক

যুগ যুগ ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবাস করছেন। এদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি বড় অংশ অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে নানা মামলা-মোকদ্দমাসহ অন্যান্য নানা মামলা নিয়ে আইনী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিভিন্ন সমস্যায় যাতে আইনী সহায়তা পেতে পারেন এব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করা। আইন বিষয়ক সম্পদক যিনি হবেন তাকে আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে। তিনি ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন।

৬.২৬   সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক

আইন বিষয়ক সম্পাদকের সকল কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করাসহ ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন এবং আইন বিষয়ক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন।

৬.২৭   স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক

বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বী সহ বিভিন্ন ধর্মের অসংখ্য দরিদ্র মানুষের বসবাস করছেন। তাদের মধ্যে অনেকে টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারেন না। সচেতনতার অভাবে নানা রোগে আক্রান্ত হন। ফোরামের উদ্যোগে স্বাস্থ্য সচেতনতা সহ সমাজে বসবাসকারী গরীব মানুষের চিকিৎসা সহয়তা প্রদানে সহযোগিতা করা, আর্থিক সহায়তা প্রদানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নেয়াসহ তিনি ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন।

৬.২৮  সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক

স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকের সকল কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা সহ ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন।

৬.২৯   বার্তা ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক

বর্তমান যুগ হলো তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তরুণ প্রজন্মের একটা বিশাল অংশ এখন অন-লাইন তথা ফেসবুক, ব্লগ এবং টুইটারে রাজনীতি, ধর্ম, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়ে লেখা-লেখি করেন। বাংলাদেশে একটি তথ্য-প্রযুক্তি আইন আছে। এ আইন-বিরোধী, অন্য ধর্ম এবং ধর্মালবম্বীদের বিরুদ্ধে যাতে কেউ কোন উস্কানিমূলক লেখা পোষ্ট না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখা, ইন্টারনেটে কিভাবে তথ্য আদান-প্রদান করতে হয় এব্যাপারে সদস্যদের সচেতনা সৃষ্টি করা, তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারে সদস্যদের উদ্ভুদ্ধ করা সহ ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশ গ্রহণ করবেন। এছাড়া ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং প্রধান সমন্বয়কের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে কেন্দ্রীয় কমিটির নেয়া সিদ্ধান্তসমূহ, সভার আলোচনার বিষয়সমূহ ও কার্যপ্রণালীসমূহ কেন্দ্রীয় এবং জেলা কমিটিকে অন-লাইনে সদস্যদের অবহিত করবেন ।

৬.৩০  সহ-বার্তা ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক

বার্তা ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের সকল কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা সহ ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন এবং বার্তা ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন।

৬.৩১   মহিলা বিষয়ক সম্পাদক

আমাদের দেশে নারীরা প্রতিনিয়ত নানা সামাজিক, পরিবারিক বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। নিজের পরিবারে মেয়ে হয়ে জন্মানোর কারণে যেমন কখনো কখনো অবহেলার শিকার হচ্ছেন, তেমনি পরিবারের অসচেতনতার কারণে বাল্য বিবাহ, যৌতুকের বিনিময়ে বিবাহ, যৌতুকের জন্য স্বামী এবং স্বামীর পরিবারের লোকজন কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, স্কুল-কলেজে যাতায়াতের পথে বখাটে কর্তৃক লাঞ্চিত এবং ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। এছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বী মেয়েরা নানা প্রলোভন এবং সামাজিক পরিস্থিতির কারণে প্রতিনিয়ত ধর্মান্তরিত হচ্ছেন। এসব ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব অপরিসীম। এছাড়াও তিনি ফারামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন।

৬.৩২  সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক

মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের সকল কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা সহ ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন এবং মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন।

৬.৩৩  ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক

বর্তমান বিশ্বটাই তারুণ্যের জয়জয়কার। তরুণরাই আগামী দিনের সমাজ, দেশ এবং বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। তরুণরাই ভবিষ্যত সমাজ এবং রাষ্ট্রের মূল কারিগর। তাই তরুণদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। যদি শিশুকাল থেকে শিশুদের প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষায় আলোকিত করা যায়, তাহলে পরবর্তীতে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি প্রাথমিক থেকে সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ পর্যন্ত প্রথাগত শিক্ষার মাধ্যমে তরুণরা তাদের চিন্তা, চেতনা এবং মননে সুন্দর ও সৎ মানবিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করে সমাজ এবং রাষ্টের জন্য মূল্যবান অবদান রাখতে পারবে। এখনো আমাদের সমাজে দারিদ্র্যর কারণে, বিশেষ করে গ্রামীণ সমাজে অসংখ্য শিশু-কিশোর বয়স পার হবার আগেই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। পরবর্তীতে এরা শিশু শ্রমিকে পরিণত হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে অপরাধ জগতে ঢুকে যায়। শিশুরা যাতে অল্প বয়সে লেখা-পড়া থেকে বঞ্চিত না-হয়, তারা যাতে প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা সহ প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে, এব্যাপারে ছাত্র বিষয়ক সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। এছাড়া শিক্ষা বিষয়ক সকল কার্যক্রমসহ তিনি ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন।

৬.৩৪  সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক

ছাত্র বিষয়ক সম্পাদকের সকল কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করাসহ ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন এবং ছাত্র বিষয়ক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন।

৬.৩৫  প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক

বাংলাদেশের অসংখ্য সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ বিদেশে বসবাস করছেন। প্রতি বছরই বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ বিদেশ যাচ্ছেন। বিদেশে যাবার ব্যাপারে সহয়তা করা এবং যারা বিদেশে অবস্থান করছেন তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের সর্বদা সচেষ্ট থাকাসহ ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন।

৬.৩৬  সহ-প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক

প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের সকল কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করাসহ ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন এবং প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন।

৬.৩৭  মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাংলাদেশ এবং ভারতে অসংখ্য ধর্মীয় মন্দির আছে। সেখানে নিয়মিত পূজা-অর্চনা সহ নানা ধর্মীয় পার্বণ উদ্যাপিত হয়ে থাকে। কিন্ত অনেক মন্দিরেই ধর্ম ভির্ত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রচলন নাই। এতে তরুণ প্রজন্মের অনেকই সনাতন ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব বেশ প্রকট। এজন্য ফোরামে পক্ষ থেকে মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যবস্থা চালু করার ব্যাপারে সর্বাÍক সহযোগিতা করাসহ ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন।

৬.৩৮  সহ-মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক

মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদকের সকল কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করাসহ ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন এবং মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন।

৬.৩৯  তীর্থ ভ্রমণ বিষয়ক সম্পাদক

প্রতি বছর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান দর্শন, গয়ায় প্রয়াত পিতা-মাতার আÍার শান্তির জন্য পিণ্ড দিতে যাওয়া, আÍ-শুদ্ধির এবং হৃদয়ের প্রশান্তির জন্য তীর্থস্থান ভ্রমনে যান। এব্যাপারে ফোরামের পক্ষ থেকে তীর্থস্থান দর্শন এবং ভ্রমণে যাবার ব্যাপারে গাইডলাইন দেয়া সহ সার্বিক সহায়তা করা এবং ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন।

৬.৪০   সহ-তীর্থ ভ্রমণ বিষয়ক সম্পাদক

তীর্থ ভ্রমণ বিষয়ক সম্পাদকের সকল কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করাসহ তার অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন এবং ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন।

৬.৪১   নির্বাহী সদস্য এবং সাধারণ সদস্য

কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, মহানগর, জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটির যারা সদস্য থাকবেন, তারা সকলে ভোটাধিকার সহ ফোরামের সকল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

৬.৪২   উপদেষ্টা পরিষদ

                উপদেষ্টা পরিষদের সম্মানিত সদস্যদের মূল কাজ হলো ফোরামের সকল সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে পরামর্শ দেয়া। কিভাবে ফোরামের ভিত্তি মজবুত করা যায়, ভুল-ক্রটি হলে তা কিভাবে সংশোধন করা যায়, হিসাব-নিকাশ কিভাবে আধুনিক করা যায়, সদস্যদের মধ্যে নিয়ম-শৃংখলা রক্ষার ব্যাপারে কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যায়, ফোরামের তহবিল বৃদ্ধির ব্যাপারে কি কি ব্যবস্থা নেয়া যায় ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শ দেয়া।


৭.০     তহবিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ পদ্ধতি

৭.১     সকল প্রকার ও ধরনের দান, অনুদান, মঞ্জুরী, সাহায্য, স্বত্ব-ভোগ্য অনুদান, দানস্বরূপ চাঁদা, সদস্যদের মাসিক চাঁদা এবং প্রয়োজনে স্বেচ্চাশ্রমের মাধ্যমে ফোরামের অর্থ সংগ্রহ করা।

৭.২     ফোরামের তহবিল দেশের যে কোন সরকার অনুমোদিত ব্যাংকে চলতি/সঞ্চয়ী/স্থায়ী আমানত হিসেবে জমা থাকবে।

৭.৩    ফোরামের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ দু‘জনের যৌথ স্বাক্ষরে উক্ত হিসাব পরিচালিত হবে। ফোরামে নিয়মিত খরচাদি নির্বাহের জন্য সাধারণ সম্পাদক ১,০০০.০০ (এক হাজার) টাকা এবং কোষাধ্যক্ষ ১,০০০.০০ (এক হাজার) টাকা হাতে নগদ রাখতে পারবেন।


৮.০    হিসাব পত্র সংরক্ষণ পদ্ধতি

৮.১     হিসাব পত্রের বইসমূহ কমিটি কর্তৃক নির্দেশ মোতাবেক সংরক্ষণ করতে হবে। এসব ফোরামের নির্দিষ্ট কার্যালয়ে বা যে স্থান কমিটির নিকট উপযুক্ত বিবেচিত হবে সে স্থানে রাখতে হবে।

৮.২    সাধারণ সভায়, জরুরি সভায় অথবা যে কোন সময় কমিটির সদস্যগণ দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসাব সংরক্ষণকারী সদস্যের নিকট হতে হিসাবপত্র দেখতে পারবেন।

৮.৩    ফোরামের সদস্য নন এরূপ কোন ব্যক্তি হিসাবপত্র বা বইসমূহ বা দলিল দস্তাবেজসমূহ পরিদর্শন করবার অধিকার পাবেন না।

৮.৪    আয়-ব্যয়ের হিসাবপত্র, বিভিন্ন খাতে সুষ্ঠুভাবে সন্নিবেশিত অবস্থায় প্রদর্শিত হতে হবে। সব সময় জটিলতা পরিহার করতে হবে। মোট আয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন উৎস্য হতে প্রাপ্ত আয় পৃথকভাবে দেখাতে হবে এবং মোট ব্যয়ের ক্ষেত্রে ফোরামের দৈনন্দিন ব্যয় এবং অন্যান্য (যেমন- ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির ব্যয় বা অন্য কোন অনুষ্ঠানাদির) ব্যয় পৃথকভাবে দেখাতে হবে।

৮.৫    ব্যয়ের প্রতিটি দফা যে বছরের আয় হতে ব্যয়িত হওয়া উচিত, সে বছরের হিসাবে গৃহীত হতে হবে, যাতে একটি সঠিক আয়-ব্যয়ের হিসাব সভায় উপস্থাপিত হয়।

৮.৬    প্রতি বছর স্থিতিপত্র প্রস্তুত করতে হবে, যা সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবার পূর্বে অনধিক ২(দুই) মাসের মধ্যে প্রস্তুতকৃত হতে হবে এবং যা ফোরামের সাধারণ সভায় উপস্থাপন করতে হবে।

৮.৭    এ দায়িত্বগুলো ফোরামের কোষাধ্যক্ষ এবং সহকারী কোষাধ্যক্ষ পালন করবেন। তবে এব্যাপারে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সার্বক্ষণিকভাবে কোষাধ্যক্ষের সাথে মত বিনিময় করবেন।


৯.০     সভা আহ্বান

৯.১     প্রতি তিন/চার মাস পর পর একবার এবং জরুরি প্রয়োজনে একাধিকবার ফোরাম পরিচালনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।

৯.২     প্রতি বছর একবার ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে জেলা কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হতে হবে। সভা কোথায় অনুষ্ঠিত হবে- এব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটি একমাস পূর্বে জেলা কমিটিসমূহকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে।

৯.৩    প্রতিটি সভার কার্যবিবরণী যথাযথভাবে নথিতে সংরক্ষণ করতে হবে। এব্যাপারে দপ্তর সম্পাদক যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।


১০.০   কার্যনির্বাহী কমিটির/সাধারণ সভার কার্যপ্রণালী

১০.১   ফোরামের নিয়মিত সভা ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ১৫ দিন পূর্বে এবং জরুরি সভা অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ পূর্বে সভার স্থান, তারিখ, সময় এবং বিষয় সবিস্তারে উল্লেখপূর্বক লিখিত নোটিশ দিতে হবে; কিন্তু কোন সদস্য নোটিশ না পেলেও সভার কার্যপ্রণালী বাতিল হবে না।

১০.২   কেন্দ্রীয় এবং জেলা পরিচালনা কমিটির নিয়মিত সভায় ফোরামের সার্বিক পরিস্থিতি, সদস্যদের শৃংখলাবোধ, হিসাব-নিকাশ দেখা সহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং তার মূল্যায়নের ব্যবস্থা করবে।

১০.৩   সাধারণ সভায় সাধারণ কার্যাবলী হবে হিসাব এবং স্থিতিপত্র দেখা ও গ্রহণ করা, ফোরামের সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করা, মৃত্যু অথবা পদত্যাগজনিত কারণে কমিটির কোন সদস্যের পদ শূন্য হলে তার বা তাদের স্থলে নতুন সদস্য নির্বাচন করা।

১০.৪   কোরাম এবং সভা পরিচালনা নিমোক্তভাবে নিশ্চিত করা হবে

(ক)     সভা (কার্যনির্বাহী এবং সাধারণ উভয় সভা) অনুষ্ঠানের সময় যদি ফোরামের সদস্য সংখ্যা ২০ (বিশ) জনের অধিক না-হয় তাহলে ১০(দশ) জনকে নিয়ে কোরাম গঠিত হবে, যদি সদস্য সংখ্যা (সভা অনুষ্ঠানের সময়) ২০(বিশ) জনের অধিক হয়, তবে প্রতি ১০ জন অতিরিক্ত সদস্যের জন্য ২ জন করে সদস্য কোরামের মূল সংখ্যা ১০(দশ) জনের সাথে যোগ হবে। তবে কোরামের জন্য সদস্য সংখ্যা কখনই ২০ (বিশ) জনের জনের অধিক হবে না।

(খ)     কোন সভা শুরু হওয়ার নির্দিষ্ট সময় হতে এক ঘন্টার মধ্যে যদি কোরামের প্রয়োজনীয় সদস্য উপস্থিত না-হন তাহলে ঐ সভা বাতিল হবে এবং পরবর্তী সপ্তার একই দিনে একই স্থানে ও একই সময়ে সভা অনুষ্ঠিত হবার জন্য সভা মূলতবী হবে।

(গ)     ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি পদাধিকার বলে প্রত্যেক সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তবে সভাপতি যদি সভা শুরু হবার এক ঘন্টার মধ্যে সভায় উপস্থিত হতে না-পারেন বা যদি তিনি সভাপতিত্ব করতে অনিচ্ছুক হন বা ব্যক্তিগত কারণে এলাকার বাহিরে অবস্থান করেন তাহলে পদাধিকার বলে সহ-সভাপতিমন্ডলীর মধ্য থেকে উপস্থিত সদস্যদের সম্মতিক্রমে একজন সভাপতিত্ব করবেন, সহ-সভাপতিগণও যদি অনুপস্থিত থাকেন অথবা সভায় সভাপতিত্ব করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তাহলে কমিটির সদস্যগণ উক্ত সভার জন্য উপস্থিত একজনকে সভাপতি নির্বাচিত করতে পারবেন।

(ঘ)     সভাপতি সবার সম্মতিক্রমে সভা মূলতবী রাখতে পারবেন এবং সভার স্থানও পরিবর্তন করতে পারবেন। সভা মূলতবীকরণ কালে যে সকল কাজ অসমাপ্ত থাকবে, পরে মূলতবী সভায় উক্ত অসমাপ্ত কাজসহ অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদন করা যাবে।

(ঙ)     দুই বছর মেয়াদের মধ্যে নতুন কমিটি নির্বাচনের ব্যবস্থা কমিটিকে করতে হবে এবং কোন কারণে সাধারণ সম্পাদক নির্দিষ্ট সময়ে বৈঠক আহ্বান করতে ব্যর্থ হলে সহ-সাধারণ সম্পাদক সভা আহ্বানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন অথবা সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত নিয়ে সভাপতি বা অন্য যে কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য সাধারণ সভা আহ্বান করে নতুন কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

(চ)     প্রত্যেক সভার কার্য বিবরণী ও প্রস্তাবাবলী সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও উক্ত সভার সভাপতি কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত হতে হবে। পরবর্তী সভায় উক্ত কার্যবিবরণী ও প্রস্তাবাবলী পঠিত ও অনুমোদিত তথা চূড়ান্তকৃত (ঈড়হভরৎসবফ) হতে হবে এ সভার সভাপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে (যেহেতু পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সভার সভাপতি বিভিন্ন কারণে ভিন্ন ব্যক্তি হতে পারেন)।

(ছ)     বার্ষিক সাধারণ সভায় বা বিশেষ সাধারণ সভায় প্রয়োজনানুসারে উপস্থিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের ঐকমত্যে এই গঠনতন্ত্রের সামগ্রিক বা আংশিক পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন বা বিয়োজন করা যাবে।


১১.০   তহবিল ও সম্পত্তি এবং এগুলির ব্যবহার

১১.১   ফোরামের তহবিল ও সম্পত্তি শুধুমাত্র সংঘ-স¥ারকে বর্ণিত ও ঘোষিত উদ্দেশ্যসমূহ সাধন, অর্জন ও বাস্তবায়নের জন্যই ব্যবহৃত হবে। ফোরামের তহবিল ও সম্পত্তির কোন অংশই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে লাভ বা ডিভিডেন্ডরূপে সদস্যগণকে দেয়া যাবে না।

১১.২   ফোরামের নির্বাচিত পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং সাধারণ সদস্যবর্গ যারা ফোরামের নানা সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকবেন তাদের পারিশ্রমিক বাবদ কোন অর্থ প্রদান করা যাবে না।


১২.০  অবসায়ন/অবলুপ্তি করার সময় সদস্যদের দায়-দায়িত্ব

কোন কারণে যদি শারদাঞ্জলি ফোরাম-এর অবসায়ন/অবলুপ্তি হয়, তাহলে প্রত্যেক সদস্যই এবং ঐ সকল ব্যক্তি, যারা উক্ত অবসায়ন/অবলুপ্তির সূচনার সময় হতে পূর্ব এক বছর সময়কালের মধ্যে ছিলেন, তারা সকলে ফোরামের সর্বপ্রকার দায়-দায়িত্ব এবং ঋণ (যদি থাকে), যা তাঁদের সদস্য পদ বিলুপ্তির পূর্বে গৃহীত হয়, পরিশোধার্থে এবং ফোরামের অবসায়ন/অবলুপ্তির সকল প্রকার ব্যয়ভার, খরচাদি ও দায়ভার এবং সদস্যবর্গের পরস্পরের মধ্যে অধিকারের সমন্বয় সাধনের জন্য প্রত্যেকে ফোরামের পরিসম্পদকে সর্বোচ্চ ২০০.০০ (দুই শত) টাকা মাত্র প্রদান করার জন্য দায়ী থাকবেন।


১৩.০   বিলোপ বন্টন

কোন কারণে শারদাঞ্জলি ফোরাম-এর অবসায়ন/অবলুপ্তি হলে- ফোরামের সকল দায়-দায়িত্ব, ঋণ, দায়ভার ইত্যাদি পরিশোধ করার ও দায়িত্ব সম্পাদনের পর যদি কোন উদ্বৃত্ত সম্পত্তি থাকে, তবে তা সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা যাবে না। এ উদ্দেশ্যে সাধারণ সভা আহ্বান করে সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের ঐকমত্যের ভিত্তিতে উক্ত সম্পত্তি এমন কোন প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রদান করা হবে যার বা যাদের উদ্দেশ্য ফোরামের অনুরূপ কার্যক্রমের সাথে জড়িত আছে।

Copyright by sharodanjoli.com Encode by Satyajit chowdhury

Any information008801918881813

Print Friendly, PDF & Email
Translate »