৩১ মার্চ ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত জরুরী সভার কার্যবিবরণী।

শারদাঞ্জলি ফোরাম

অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়, মল্লিক টাওয়ার, ৮ম তলা, ঢাকা

 

বিষয় ঃ মার্চ ৩১, ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত জরুরী সভার কার্যবিবরণী।

 

গত মার্চ ৩১, ২০১৭ ইং শুক্রবার সকাল ১১ঃ০০ টায় শারদাঞ্জলি ফোরাম-এর অস্থায়ী কার্যালয় চিত্তরঞ্জন এভিনিউ, মল্লিক টাওয়ারের ৮ম তলায় দিকদর্শন প্রকাশনী লিমিটেড-এর সেমিনার কক্ষে শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি এবং ঢাকা মহানগর কমিটির যৌথ উদ্যোগে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সম্মানিত সভাপতি শ্রী বাবুল চন্দ্র পাল। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত উপদেষ্টা শ্রী লিটন চন্দ্র পাল, সহ-সভাপতি শ্রী অজিত রায়, নির্বাহী সারথি শ্রী দিলীপ কুমার সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি শ্রী আশীষ কুমার দাশ এবং সাধারণ সম্পাদক শ্রী উৎপল কুমার সাহা। এছাড়া হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি শ্রী সুজিত পাল, দিনাজপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক শ্রী নারায়ণ রায়, গাজিপুর থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সারথি শ্রী জীবন দাস উপস্থিত ছিলেন। সভায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির মুখপাত্র এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্রী পলাশ চন্দ্র নাথ।

সঞ্চালক শ্রী পলাশ নাথ উপস্থিতিত সকল সারথিকে স্বাগতঃ জানিয়ে আজকের জরুরী সভার কার্যপ্রণালিসমূহ উত্থাপন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় কার্যপ্রণালিসমূহ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় এবং কার্যপ্রণালির আলোকে আলোচনা শেষে নিুোক্ত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয় ঃ

 

সভার প্রারম্ভে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং ঢাকা মহানগর শ্রী উৎপল ভট্টচার্য্য গীতা পাঠ করেন।

 

১.০ গত অক্টোবর ২৮, ২০১৬ তারিখের সভার কার্যবিরণী নিয়ো আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ

 

গত অক্টোবর ২৮, ২০১৬ তারিখে অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী নিয়ে অদ্যকার সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে উপস্থিত সারথিদের সর্বসম্মত সিন্ধান্ত মোতাবেক গত সভার কার্যবিবরণী অনুমোদিত হয়।

 

২.০ উপস্থিত সম্মানিত সারথিদের বক্তব্য প্রদান ঃ

 

প্রথমে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শ্রী সঞ্জয় ভৌমিক। তিনি উপস্থিত সকল সারথিকে সভায় আসার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং সভায় গঠনমূলক আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে উপস্থিত সারথিদের সহযোগিতা কামনা করে বক্তব্য শেষ করেন।

 

এরপর শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির মুখপাত্র এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্রী পলাশ চন্দ্র নাথ বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি তার বক্তব্যে লাঙ্গলবন্দে আগত পুণ্যার্থীদের শারদাঞ্জলি ফোরামের উদ্যোগে সেবামূলক যে কর্মসূচি নেয়া হয়েছে- সেটা সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য শারদাঞ্জলি ফোরামের সারথি সহ শুভাকাঙ্খীদের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া দ্বিতীয় সংস্করণে যে গীতা ছাপানো হচ্ছে প্রথম সংস্করণে যে ভুলগুলো ছিলো তা সংশোধন করে যাতে কোমলমতি শিশুরা শুদ্ধ উচ্চারণ করে পড়তে পারেন- সে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে আগামী দিনে শারদাঞ্জলি ফোরামের সকল ধর্মীয় ও মানবিক কর্মকাণ্ড যাতে আরো গতিশীল হয় এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি তার বক্তব্য সমাপ্ত করেন।

 

এরপর শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক শ্রী লোকনাথ ভৌমিক বক্তব্য রাখেন। তিনি গত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে কিছু ভুল-ভ্রান্তি হয়েছে স্বীকার করেন। একটি সংগঠনে ভালো-মন্দ যেমন থাকে, তেমনি ভুল-ভ্রান্তিও হতে পারে। আমরা সবাই শারদাঞ্জলি ফোরামের সারথি। তিনি বলেন, ভুলগুলো খারাপভাবে না-দেখে ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টি দেখাই ভালো হবে। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কুমিল্লা মহানগর কমিটির সারথিরা কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অব্যহতি নেয়ার যে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন, তা গ্রহণ না-করার অনুরোধ জানান।

 

এখানে উল্লেখ্য যে, শ্রী লোকনাথ ভৌমিক এবং ঢাকা মহানগর কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুমন রায় লাঙ্গলবন্দ কর্মসূচী উপলক্ষ্যে ১৫০০ নতুন বাংলা ক্যালেণ্ডার ছাপিয়েছেন। এজন্য তাদের দুজনকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

 

এরপর চাঁদপুর থেকে আগত শারদাঞ্জলি ফোরাম চাঁদপুর জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক শ্রী অনুপ চাকী বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি তার বক্তব্যে শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে গত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে নানা অনিয়ম হয়েছে বলে জানান। বিশেষ করে আপ্যায়ন, জেলা প্রতিনিধিদের পর্যাপ্ত বক্তব্য প্রদান করতে না-দেয়া, রাতে সারথিদের থাকার ব্যবস্থায় সমস্যার কথা উল্লেখ করেন। এতে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সারথিদের মাঝে প্রতিক্রিয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ভবিষ্যতে এধরনের সমস্যা যাতে না-হয় এব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মহোদয়কে দৃষ্টি দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি আরো বলেন যে, তাকে একটি সম্মাননা পদক দেয়া হয়েছিল। সেটাতে বানান ভুল আছে। এধরনের ভুল কোনভাবে বাঞ্চনীয় নয়। তাছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে জেলা কমিটির সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এটা নিরসনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধিদের প্রতি মাসে জেলা সফরসহ সমন্বয় সভা করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন যে, গীতা নিকেতন পরিচালনার জন্য একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের নির্বাহী সচিব পিয়াল শর্মা গীতা বিতরণের দায়িত্বে আছেন। কিন্তু তাকে সময়মত ফোনে পাওয়া যায় না। যার কারণে গীতার চাহিদা দিয়েও গীতা পাওয়া যায় না। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে জেলা প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিনতার কারণে এই পদটি অন্য কোন দায়িত্ববান সারথিকে দেয়ার জন্য তিনি সুপারিশ করেন। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে অনেকগুলো গীতা নিকেতন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে জেলা কমিটির নিস্কৃয়তার কারণে অনেক গীতা নিকেতন বন্ধ হওয়ার পথে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপারে। কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নেয়া যায় কিনা এব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি শারদাঞ্জলি ফোরামে আজীবন কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বক্তব্য শেষ করেন।

 

এরপর দিনাজপুর থেকে আগত দিনাজপুর জেলা কমিটির প্রধান আহ্বায়ক শ্রী নারায়ণ চন্দ্র রায় বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, ১৪২২ বঙ্গাব্দে অনুষ্ঠিত শারদীয় দুর্গা পূজায় সাত্ত্বিকী পূজা আয়োজনে সনাতনী সম্প্রদায়ের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচারণাকে কেন্দ্র করে তিনি শারদাঞ্জলি ফোরামের সাথে যুক্ত হন। তিনি তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করার অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু প্রস্তাবনা সভায় উপস্থাপন করেন। কেন্দ্রীয় কমিটির একটি বা দুটি টীম প্রতি মাসে জেলা সফর করা, তৃণমূলের সারথিদের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা, তাদের কাজে উৎসাহ দেয়া, গীতা শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির দিকনির্দেশনার আলোকে জেলা কমিটিগুলো কাজ করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, গীতা শিক্ষার্থী নিয়ে প্রতি বছর কেন্দ্রীয়ভাবে গীতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং গীতা শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সনাতনী অন্যান্য ধর্মীয় বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার সুপারিশ করেন। তিনি দিনাজপুরে জন্য এক হাজার গীতা প্রদানের অনুরোধ করেন। প্রয়োজন দিনাজপুর জেলার কোটা অনুযায় যা প্রাপ্য তার বাইরে যে গীতা প্রদান করা হবে দিনাজপুর জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সেগুলোর মূল্য পরিশোধ করা হবে বলেও তিনি জানান। এছাড়া দিনাজপুরে অবস্থিত ঐতিহাসিক কান্তাজির মন্দিরে রাসমেলা উপলক্ষ্যে প্রতি বছর হাজার হাজার পুণ্যার্থী আসেন। আগত পুণ্যার্থীদের মাঝে দিনাজপুর জেলা কমিটির পক্ষ থেকে আগামীতে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হলে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য তিনি অনুরোধ জানান।

 

এরপর শারদাঞ্জলি ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী উৎপল কুমার সাহা বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি উপস্থিত সকল সারথিকে নবগঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আগামী ৩ ও ৪ এপ্রিল লাঙ্গলবন্দে পুণ্যøান কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে সবাইকে আবারও শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করেন।

 

এরপর হবিগঞ্জ থেকে আগত শারদাঞ্জলি ফোরামে হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি শ্রী সুজিত পাল বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি প্রথমেই হবিগঞ্জ জেলার পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটি সম্মানিত সভাপতি শ্রী বাবুল চন্দ্র পাল সহ উপস্থিত সকল সম্মানিত সারথির প্রতি শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে। তিনি বলেন যে, আগামী ৩ ও ৪ এপ্রিল লাঙ্গলবন্দে পুণ্যøান কর্মসূচিতে ৪০০ বিশুদ্ধ জলের বোতল ক্রয়ের জন্য তিনি আর্থিক সহযোগিতা দেবেন। তার এই মহানুভবতায় উপস্থিত সারথিগণ হাততালি দিয়ে তাকে অভিনন্দিত করেন। এছাড়া গীতা শিক্ষা যাতে আরো ফলপ্রসূ হয় এবং ফোরামের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে যাতে আরো দক্ষ নেতৃত্ব গড়ে উঠে সেজন্য তিনি কিছু প্রস্তাব পেশ করেন। তিনি বলেন যে, প্রথম সংস্করণে গীতায় অনেক ভুল পাওয়া গেছে। এগুলো সংশোধন করতে হবে। তিনি নিজেই গীতার সংশোধিত একটি কপি নিয়ে এসেছেন। এছাড়া মূল শ্লোকের পাশাপাশি গীতা শিক্ষার্থীরা যাতে শ্লোকগুলো শুদ্ধ উচ্চারণ করতে পারে এজন্য তিনি প্রিন্ট করা একটি গীতার বই যার সাথে গীতা পাঠ করার পূর্বে শিক্ষার্থীদের জন্য আরও কিছু পাঠ্যসূচি সংযোজন করে সফ্ট কপি নিয়ে এসেছেন। এই বই সহ তিনি গীতার সংশোধিত কপি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রী বাবুল পালের নিকট হস্তান্তর করেন। এছাড়া তিনি প্রস্তাব রাখেন যে, চাহিদা মোতাবেক গীতা গ্রন্থ প্রত্যেকটি গীতা নিকেতনে যথাসময়ে কেন্দ্র থেকে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া সহ গীতা গ্রন্থের সাথে পরীক্ষার নিমিত্তে প্রশ্নোত্তর সমন্বলিত আরেকটি গ্রন্থ দেয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। শারদাঞ্জলি ফোরামের গীতা গ্রন্থ কতদিনের মধ্যে পাঠদান শেষ করতে হবে, তার পাঠ পরিকল্পনা আবশ্যক এবং কেন্দ্র হতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ব্যবস্থাসহ সনদপত্র দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া, প্রতিটি গীতা নিকেতনের শিক্ষকদের কেন্দ্র হত যথাযথ মূল্যায়নের জন্য যোগ্যতার ভিত্তিতে সদনপত্র দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ, এছাড়া শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া, একই সাথে ফোরামের দক্ষ সংগঠকদের অধিক সন্মানে ভ’ষিত করার ব্যবস্থা নেয়া, প্রতিটি গীতা নিকেতনের জন্য একের অধিক অভিজ্ঞ শিক্ষক রাখা প্রস্তাব করেন। এছাড়া তিনি আরও প্রস্তাব করেন যে, জেলা, মহানগর, উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনকল্পে কেন্দ্র হতে মনোনীত প্রতিনিধি প্রেরণ করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় কেন্দ্র থেকে গঠিত কমিটির অনুমোদন দিতে হবে এবং গঠিত কমিটির সারথিদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য কেন্দ্রে সংরক্ষণ করতে হবে। গীতা নিকেতনের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক সহ পূর্ণাঙ্গ তথ্য কেন্দ্রে সংরক্ষণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিতে যোগ্য এবং অভিজ্ঞ সারথিদের স্থান নিতে হবে। বিশেষ করে যাদের মধ্যে ধর্মীয় চেতনা এবং জ্ঞান আছে তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখতে হবে। অন্যান্য সারথিদের উপদেষ্টা হিসেবে অথবা নির্বাহী সারথি হিসেবে রাখা যেতে পারে।

 

এরপর গাজীপুর থেকে আগত কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সারথি শ্রী জীবন দাস বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, দেশে এখন জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটেছে। এব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ফেসবুকে লেখালেখির ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতনী সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের ব্যাপারটা তিনি উল্লেখ করেন। গীতা শিক্ষা যাতে আরো সম্প্রসারিত হয় তিনি এব্যাপারে প্রথম সংস্করণে ভুলগুলো সংশোধন করার পরামর্শ দেন। তিনি আরো বলেন যে, শারদাঞ্জলি ফোরামের সকল সারথির মধ্যে একতা থাকতে হবে, নিজেদের মধ্যে দলাদলি কোনভাবে বাঞ্চনীয় হতে পারে না। এতে ফোরামের অগ্রগতি ব্যহত হবে। কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে যে মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে, এটার প্রশংসা করে তিনি সারা বাংলাদেশে আরো যাতে এই কর্মসূচি সম্প্রসারিত করা যায়- এব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি আরও বলেন যে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে গত দুর্গা পূজায় সারা বাংলাদেশে ওসি মহোদয়ের হস্তক্ষেপে যে কমিটিগুলি গঠিত হয়েছিল পুজা উদজাপন রক্ষা কমিটি নামে, সেই কমিটিগুলিকে সক্রিয় রাখা হোক। যেহেতু সরকার উক্ত কমিটিগুলি বিলুপ্তি করেনি।

 

এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা শ্রীমতি প্রমীলা পাল বক্তব্য রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন যে, সাংসারিক এবং পেশাগত কারণে তিনি ফোরামের জন্য যতটুকু সময় দেয়া প্রয়োজন তিনি দিতে পারছেন না। যার কারণে ফোরামের অনেকই তাকে ভালোভাবে চিনে না। এজন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে, ফোরামের কর্মকাণ্ড ফেসবুকের মধ্যে বেশীরভাগ সীমাবদ্ধ আছে। ফোরামের কর্মকাণ্ড তৃণমূল পর্যায়ে সম্প্রসারণ করতে হলে কেন্দ্রীয় সারথিদের প্রতিনিয়ত জেলা সফর করতে হবে এবং তৃণমূলের সারথিদের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। ঢাকা হলো বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র। ঢাকাতে অনেক মন্দির আছে। অথচ এখানে শারদাঞ্জলি ফোরামের কোন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে না। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ঢাকা মহানগর কমিটিকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি আরো বলেন যে, যেহেতু শারদাঞ্জলি ফোরামের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো নতুন সনাতনী প্রজন্মকে গীতা শিক্ষার মাধ্যমে প্রকৃত ধর্ম শিক্ষা দেয়া, এজন্য গীতা শিক্ষার সঠিক নিয়মাবলি তৈরি করতে হবে।

 

এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শ্রী কল্লোল রায় বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি তার বক্তবে বলেন যে, শারদাঞ্জলি ফোরাম সৃষ্টির পর যে গতি ছিলো, এখন তার কিছুটা ভাটা পড়েছে বলে তিনি মনে করেন। এবারের প্রতিষ্ঠিাবার্ষিকী পালনে বেশ কিছু অনিয়ম হয়েছে, যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা যথাযথ ভ’মিকা পালন না করার কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সারথিরা বেশ ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। এধরনের অনিয়ম যাতে আগামীতে না-হয় এব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন যে, ফোরামে নিবেদিতপ্রাণ সারথির খুবই অভাব রয়েছে। অনেকেই সাংগঠনিক দায়িত্ব যথাযথাভাবে পালন করতে পারছেন না। বারদী এবং লাঙ্গলবন্দে পুণ্যøান প্রসংগে তিনি বলেন যে, অতীতে দেখা গেছে অনেককে দায়িত্ব দেয়া হয়- কিন্তু কিছু সংখ্যক সারথি ছাড়া কেউ যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন না। এতে দায়িত্বরত সারথিদের উপর বেশ চাপ পড়ে যায়। আগামীতে যাতে এমন না-হয় এব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া জন্য তিনি সুপারিশ করেন। তিনি দুবাই-এ কর্মরত গোপালগঞ্জ নিবাসী শারদাঞ্জলি ফোরামের একজন শুভাকাঙ্খী শ্রী শান্ত সরকারকে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য করার সুপারিশ করেন। তিনি আরো বলেন যে, ফোরামের মধ্যে এখনও দলাদলি আছে। এটা বন্ধ করতে হবে। গীতা শিক্ষা সম্প্রসারণে আরও সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। মানবিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অতি দ্রুত ডোনার ফাণ্ড গঠন করার গুরুত্ব দেন। এছাড়া তৃণমূলের সারথির মনোবল বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েটি টীম গঠন করে জেলা সফরের ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব ব্যাপারে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সভাপতি শ্রী বাবুল পাল নজর দিবেন বলেন প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

 

এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী নিকেতন দে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন যে, শারদাঞ্জলি ফোরামের উদ্যোগে যে ৫ হাজার গীতা ছাপানো হয়েছে তাতে অসংখ্য ভুল দেখা গেছে। এসব ভুলের কারণে গীতা শিক্ষার্থীরা ভুল শিক্ষা নিচ্ছে। এই ভুল গীতা প্রকাশনার দায়ভার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ যাকে গীতা ছাপানোর মূল দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাকে নিতে হবে। দ্বিতীয় সংস্করণে যাতে কোন ভুল না-হয় এব্যাপারে অতি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে তিনি জানান। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে, শারদাঞ্জলি ফোরামের কার্যক্রম আড়াই বছর অতিক্রম করলেও সকল কর্মকাণ্ড এখনও সভাপতি নির্ভর। সভাপতি স্বয়ং দায়িত্ব বন্টন করে দেবার পরও সেটা কার্যকর হচ্ছে না। তাই কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য সাংগঠনিক পদগুলো আরো সক্রিয় হবার পরামর্শ দেন। তিনি অনুদানের টাকা নির্দিষ্টি ব্যাংক হিসাবে রাখার পরামর্শ দেন। এছাড়া দাতা সারথিদের সম্মাননা দেয়া যায় কিনা সেটা ভেবে দেখার পরামর্শ দেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সারথিদের প্রতি মাসে জেলার সফরে যাওয়ার গুরুত্ব আরোপ করেন। চট্টগ্রামে মানববন্ধন প্রসংগে বলেন যে, কেন্দ্রীয় কমিটির কোন নির্দেশনা ছাড়া অন্য সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন করতে গিয়ে সাংবাদিক ভাইদের সাথে বিবাদে জাড়িয়ে পড়ে চট্টগ্রাম শারদাঞ্জলি ফোরামের তিনজন সারথিকে জেলে যেতে হয়েছে। এতে শারদাঞ্জলি ফোরামের যথেষ্ট সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। শুধু তাই নয় কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মহোদয়কে পর্যন্ত ফেসবুকে নানাভাবে অপদস্থ করা হয়েছে। যারা শারদাঞ্জলি ফোরামকে বিতর্কিত করছে, তাদের ফোরামের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে না-রাখার তিনি পরামর্শ দেন। তিনি গীতা শিক্ষার ব্যাপারে বলেন যে, যথাযথ সিলেবাস প্রণয়ন করে গীতা শিক্ষা দিতে হবে। এতে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।

 

এরপর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং ঢাকা মহানগর কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক শ্রী উৎপল ভট্টচার্য্য বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, সারা বাংলাদেশ শারদাঞ্জলি ফোরামের উদ্যোগে দ্রুত গীতা শিক্ষা সম্প্রসারিত হচ্ছে। এজন্য একটি গীতা নিকেতন বোর্ডও করা হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র থেকে যথাযথ মনিটরিং এর অভাবে কিছু গীতা নিকেতন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এব্যাপারে কেন্দ্র থেকে যথাযথ পক্ষক্ষেপ নিতে হবে। প্রথম সংস্করণে গীতায় অনেক বানান ভুল আছে। যাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল, সে সেটা যথাযথভাবে পালন করতে পারেনি। আগামী সংস্করণে যাতে ভুল কম থাকে এজন্য সতর্কভাবে নতুন করে কম্পোজের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন যে, কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে তৃণমূল পর্যায়ে যথাযথ যোগাযোগ না-থাকায় তাদের মধ্যে হতাশা এবং স্থানীয় কোন্দল বেড়ে চলেছে। এজন্য কেন্দ্রের সাথে তৃণমূলের সারথির যোগাযোগ বাড়াতে হবে। ঘন ঘন জেলা সফরে যেতে হবে। তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে হবে। গত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্পর্কে তিনি বলেন যে, এতবড় একটি আয়োজনে কিছু অনিয়ম এবং ভুল হতেই পারে। এ নিয়ে চরম প্রতিক্রিয়া দেখানোটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তিনি প্রতি এবছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন না করে, সে টাকা মানব কল্যাণে ব্যয় করা যেতে পারে। তিনি প্রতি তিন বছর পর পর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা যায় কিনা এব্যাপারে ভেবে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আগামী নভেম্বর ২০১৭ সালে নতুন কমিটি হতে যাচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে দক্ষ এবং নিবেদিতপ্রাণ সারথিদের নতুন কমিটিতে স্থান দেবার জন্য তিনি অনুরোধ জানান। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ডোনার ফান্ড অনেক দুর্বল। তিনি অতি দ্রুত একটি শক্তিশালী ডোনার ফান্ড গঠনের জন্য সভাপতি মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

 

এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সারথি শ্রী দিলীপ কুমার সাহা বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বক্তব্যের প্রথমেই বলেন যে, এক বছর পূর্বে মোবাইলে যোগাযোগ করে শারদাঞ্জলি ফোরামের মানবিক কাজে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে শারদাঞ্জলি ফোরামে আসা। আজ তার এক বছর পূর্ণ হলো। তিনি বলেন যে, কেন্দ্রীয় কমিটিতে সারথিদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দও আছে। তৃণমূল সারথিদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ হয় না। কেন্দ্রীয় কমিটিকে আরো সক্রিয় হতে হবে। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত উপদেষ্টা শ্রী লিটন পালের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো যেতে পারে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে, শ্রী লিটন পাল দীর্ঘদিন ধরে অনেকগুলো সামাজিক এবং ধর্মীয় সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। তাঁর মত দক্ষ সংগঠকের বাস্তব অভিজ্ঞতা শারদাঞ্জলি ফোরামের সার্বিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। তিনি বলেন, গীতা বিতরণ নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ আমরা পাচ্ছি। এটা নিরসনের জন্য প্রয়োজনে গীতা নিকেতন বোর্ড পুনর্গঠন করা যেতে পারে। গত প্রতিষ্ঠাবার্ষির্কীর কিছু অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন জেলার বিশেষ করে কুমিল্লা, চাঁদপুর এবং চট্টগ্রামের সারথিদের ক্ষোভ আছে এটা সত্য। ফোরামের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় নানা সমস্যা হবে, অভিযোগ আসবে এবং সেটা দক্ষতার সাথে সমাধানও করতে হবে। তিনি আরও বলেন যে, গীতা শিক্ষা দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। সেই সাথে মানবিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত হচ্ছে। এজন্য শক্তিশালী গীতা ফাণ্ড এবং ডোনার ফাণ্ড গঠন করা দ্রুত প্রয়োজন। যারা পেশাজীবি, যারা কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী পদে আছেন তাদের প্রতি মাসে নির্দিষ্ট চাঁদা ধার্য্য করার প্রস্তাব করেন তিনি। তবে যারা ছাত্র তারা শুধু মাসিক চাঁদা দেবেন। এছাড়া শারদাঞ্জলি ফোরামের সারথি ছাড়াও শারদাঞ্জলি ফোরামের যারা শুভাকাঙ্খী আছেন, তাদের থেকেও অনুদান সংগ্রহ করা যায়। তিনি শ্যামলী পরিবহনের স্বত্ত্বাধিকারী, বিশিস্ট ব্যবসায়ী এবং সমাজসেবক শ্রী রমেশ চন্দ্র ঘোষ-এর কাছে অনুদান সংগ্রহের জন্য যাবার পরামর্শ দেন। কারণ শারদাঞ্জলি ফোরামের গত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শ্রী রমেশ ঘোষ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তাঁর বক্ততায় শারদাঞ্জলি ফোরামের সকল মানবিক এবং ধর্মীয় কাজে সহয়তা দেবার প্রতিশ্র“তি ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি আরো বলেন যে, শারদাঞ্জলি গীতা নিকেতনে নিয়মিত যারা গীতা শিক্ষা দিচ্ছেন- তাদের সম্মাননা দেয়া যায় কিনা এব্যাপারে ভেবে দেখা যেতে পারে। আগামী লাঙ্গলবন্দ কর্মসূচিতে তিনি সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন যে, আগত পুণ্যার্থিদের মাঝে সেবামূলক কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির আয়-ব্যয়ের হিসাব সভায় উপস্থিত সারথিদের জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

 

এরপর শারদাঞ্জলি ফোরাম নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির সভাপতি শ্রী আশীষ কুমার দাশ তার শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিতে সবেমাত্র সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে। ক্রমান্বয়ে যোগ্য এবং নিবেদিতপ্রাণ সারথিদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হবে। তাড়াহুড়ো করে কমিটি করতে গিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের কমিটিতে এনে কোন লাভ নেই। যোগ্য ব্যক্তি দিয়ে কমিটির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনে দশ জন নিয়ে কমিটি হবে। আগামী ৩ ও ৪ এপ্রিল লাঙ্গলবন্দে আগত পুণ্যার্থীদের মাঝে শারদাঞ্জলি ফোরামের উদ্যোগে যে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, এর সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি একাÍ হয়ে কাজ করবে। তবে যেহেতু নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাংগঠনিক কাঠামো এখনও দুর্বল, তাই কেন্দ্রীয় কমিটিকে এবার সার্বিক দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করেন। তিনি বলেন যে, একটি সংগঠন যত বেশি সম্প্রসারিত হবে, সংগঠনে তত বিভাজন বাড়বে। তবে সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে সেটা নিরসরনও করতে হবে। যারা ফোরামে নিস্কৃয় রয়েছেন, তাদের বাদ দিয়ে সক্রিয় এবং নিবেদিতপ্রাণ সারথিদের মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি আরও বলেন যে, ফোরামের কর্মকাণ্ড দ্রুত সম্প্রসারণের প্রয়োজন নাই, ধীরে ধীরে সম্প্রসারণ করাই ভালো। তিনি শারদাঞ্জলি ফোরামের গত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে পূর্ববর্তী বক্তাদের প্রসংগ টেনে বলেন যে, ফোরাম কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এখানে সবাই কাজ করেন নিঃস্বার্থভাবে। কাজ করতে গিয়ে ভুল হতেই পারে। সেই ভুলকে বড়ভাবে না-দেখে ফোরামের স্বার্থে সবাইকে ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন যে, দীঘদিন তিনি নারায়ণগঞ্জ সত্যধাম আশ্রমের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত আছেন। সত্যধামের প্রতিটি সভায় আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করা হয়। উপস্থিত সকল সদস্যকে এক কপি করে হিসাবের কপি দেয়া হয়। এতে কারও কোন প্রশ্ন থাকলে তিনি সংগে সংগে প্রশ্ন করতে পারেন। সত্যধামের হিসাব-নিকাশের স্বচ্ছতার আলোকে শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি অনুসরণ করতে পারে। তিনি বলেন যে, সততার উপর নির্ভর করে একটি সংগঠনের অগ্রগতি। সেই সাথে জবাবদিহিতাও থাকতে হবে। তাহলেই ফোরামের সার্বিক উন্নতি হবে। পরিশেষে শারদাঞ্জলি ফোরামের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে উপস্থিত সকল সারথিকে আবারও ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

 

এরপর শারদাঞ্জলি ফোরাম ঢাকা মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি শ্রীমতি কৃষ্ণা চট্টোপধ্যায় বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি মূলত শারদাঞ্জলি ফোরামের গীতা শিক্ষা নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, গীতা শিক্ষাকে যুগোপযোগী পর্যায়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, সনাতন ধর্ম একটি দর্শন। সনাতন ধর্মের প্রতিটি লোকাচারেও আছে দর্শন। শুধু গীতা শিক্ষা দিলে হবে না, কিভাবে গীতা সৃষ্টি হলো সেটাও শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে। প্রতি বছর ধর্মীয় কাহিনী ভির্ত্তিক শিক্ষার্থীদের মাঝে নাটকের আয়োজন করা যেতে পারে। এছাড়া ধর্ম শিক্ষায় যেন কোন উগ্রতা না-থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

 

এরপর শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শ্রী অজিত রায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তিনি বক্তব্যের প্রথমেই বলেন যে, সভা আরম্ভের প্রাক্কালে সভার আলোচ্যসূচিগুলো প্রথমে অনুমোদন নিতে হবে। তারপর বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করতে হবে। তিনি আরও বলেন যে, সুজিত পাল গীতা প্রকাশনা নিযে যে অভিযোগ করেছেন, বিশেষ করে গীতায় অসংখ্য বানান ভুল থাকাটা কোনভাবে কাম্য হতে পারে না। গত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আয়োজনে কিছু ভুল-ক্রুটি হয়েছে। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে কাজ করতে হবে। তবে এটাকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত নয় বলে তিনি জানান। আগামী ৩ ও ৪ এপ্রিল লাঙ্গলবন্দে পুণ্যøান অনুষ্ঠানে আগত পুণ্যার্থীদের মাঝে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি থেকে সারথিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করার সুপারিশ করেন। তিনি গীতা শিক্ষকদের জন্য শিক্ষক সম্মাননা পদক চালু করার সুপারিশ করেন। তিনি বলেন যে, যেকোন ধর্মীয় এবং মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য শক্তিশালী ফাণ্ড থাকা প্রয়োজন। এজন্য কেন্দ্রীয় পর্যায় দ্রুত একটি ডোনার ফাণ্ড গঠনের সুপারিশ করেন। যারা কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী পদে আছেন, তাদের বাধ্যতামূলক প্রতি মাসে এক হাজার টাকা চাঁদা ধার্য্য করার সুপারিশ করেন। তিনি তৃণমূল পর্যায়ে সারথিদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং ফোরামকে গতিশীল করার জন্য কেন্দ্র থেকে একটি প্রতিনিধি দল প্রতি মাসে একবার জেলা সফরের পরামর্শ দেন। জেলা এবং মহানগর কমিটিগুলো আরো গতিশীল করতে হবে। তিনি বলেন যে, ফোরামের কার্যক্রম এখনও সভাপতি নির্ভর। এটা কাম্য হতে পারে না। সভাপতির উপর কাজের চাপ কমানোর জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে যারা আছেন, তাদের আরো সক্রিয় ভ’মিকা পালন করার পরামর্শ দেন। দিনাজপুরের ঐতিহাসিক কান্তাজীর মন্দিরে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনায় জেলা কমিটিকে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার জন্য তিনি জোর সুপারিশ করেন। পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকল সারথিকে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।

 

এরপর শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত উপদেষ্টা এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির সম্মানিত সভাপতি শ্রী লিটন চন্দ্র পাল বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বক্তৃতার প্রারম্ভে বলেন যে, অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করে, কিন্তু বলতে সংকোচও বোধ করি। শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির গত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সঞ্জয় ভৌমিক, উৎপল, সুমন ধর সহ আরো অনেক সারথি অমানুষিক পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু তারপরও তাদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে- এটা খুবই দুঃখজনক। যেকোন কাজ করতে গিয়ে ভুল হতেই পারে, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই তো আগামীতে এগিয়ে যাওয়া। তবু যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের প্রতি ফোরামের স্বার্থে সবকিছু ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সভাপতি শ্রী বাবুল পাল প্রসংগে বলতে গিয়ে বলেন যে, তিনি ফোরামের প্রাণভোমরা। তাঁর মধ্যে সংগঠনের নেতৃত্ব দেয়ার সকল গুণাবলী, মেধা লুকিয়ে আছে। স্রস্টা তাঁকে আরও অপরিশীম ধৈর্য্য, পরিশ্রম করার ক্ষমতা দিক- এটাই প্রার্থনা করি। তিনি বলেন, গত বছর লাঙ্গলবন্দ কর্মসূচিতে সভাপতি শ্রী বাবুল পালের সাথে আÍীয়তা সূত্র ধরে সেখানে স্টল বরাদ্ধ সহ সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছি। এবারও স্টল বরাদ্ধ হয়ে গেছে। এখন সবাই মিলে সেখানে পুণ্যার্থীদের মাঝে সেবামূলক কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি প্রসংগে তিনি বলেন যে, বিশাল অবয়বে কমিটি করার প্রয়োজন নেই। দক্ষ, অভিজ্ঞ এবং নিবেদিতপ্রাণ সারথিদের নিয়ে ছোট কমিটি করে অনেক কাজ করা যাবে। তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সারথিদের ঘন ঘন জেলা সফরে যাওয়ার পরামর্শন দেন। প্রয়োজনে সাংগঠনিক সফরে যাওয়া তরুণ সারথিদের খরচ নির্বাহে তিনি সার্বিক সহযোগিতা দেবার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন যে, নারায়গঞ্জে তিনি অনেকগুলো সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। সেখানে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। শারদাঞ্জলি ফোরামে যেভাবে আছেন, সেভাবেই তিনি কাজ করে যাবেন। গুরুত্বপূর্ণ কোন পদে থাকার প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন না। প্রথম সংস্করণে গীতা অনেক ভুল পাওয়া গেছে। ভুল হবেই। ভুল থেকেই শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আগামী সংস্করণে যাতে ভুল না-থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য অনুরোধ করেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রতি বছর করার প্রয়োজন নেই। অনুষ্ঠানে এতো অতিথি রাখারও প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন না। অতিথি বক্তা একজন রাখাই বাঞ্চনীয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জেলা প্রতিনিধিদের পর্যাপ্ত সময় বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দিতে হবে। কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে অনেক মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালনয়ে মেধাবী ছাত্র অর্কের চিকিৎসার জন্য অনুদান সংগ্রহে সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পল্লব সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করেছেন। এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, মাদারীপুর, রংপুর, মানিকগঞ্জ, সিলেট সহ কয়েকটি জেলায় শারদাঞ্জলি ফোরামের উদ্যোগে মানবিক কার্যক্রয় পরিচালিত হয়েছে। এটা খুবই আনন্দের ব্যাপার। তিনি আগামীতে শারদাঞ্জলি ফোরামের সকল মানবিক কাজে সহযোগিতা দিয়ে যাবেন বলে প্রতিশ্র“তি ব্যক্ত করেন। তবে সকল কার্যক্রমের স্বচ্ছতার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন নেয়া উচিত বলে তিনি জানান। লাঙ্গলবন্দের øান উপলক্ষ্যে পুণ্যার্থীদের সেবা কার্যক্রম কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে পরিচালনা করবে। নারায়ণগঞ্জ কমিটি সার্বিক সহযোগিতা দেবে। কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদটি আরও সক্রিয় করার জন্য পূর্ণাঙ্গ করার পরামর্শ দেন। আগামীতে কেন্দ্রীয় কমিটি আরও শক্তিশালী করতে হবে বলে তিনি মত দেন। ফোরামের প্রতি মাসে মাসিক চাঁদা মাত্র ১০ টাকা। অনেক সারথি নাকি নিয়মিক মাসিক চাঁদা পরিশোষ করেন না। এটা কোনভাবে কাম্য হতে পারে না। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মহোদয় এতোদিন গ্রামের বাড়িতে নতুন ঘর নির্মাণ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আশাকরি এখন থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সারথিদের নিয়ে আরও কর্মব্যস্ত হবেন। তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সারথিদের জেলা সফরের উপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করেন। এব্যাপারে তিনি সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। জেলা সফরের কর্মসূচি প্রণয়নের জন্য তিনি পলাশ নাথ এবং লোকনাথ ভৌমিককে দায়িত্ব দেয়ার সুপারিশ করেন। এখন থেকে জেলা সফরের মহা পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। ঢাকা জেলায় ফোরামের কার্যক্রম বাড়াতে হবে। এজন্য ঢাকা মহানগর কমিটিকে আরও সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন যে, শারদাঞ্জলি ফোরামে কাজ করি বিধায় ফেসবুকের মাধ্যমে গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে যথেষ্ট সম্মান পেয়েছি। শারদাঞ্জলি ফোরামের মাধ্যমে আজ আমি বাংলাদেশে বেশ পরিচিতি অর্জন করেছি। এটা আমার জন্য অনেক গৌরবের। তবে ফেসবুক প্রসংগে বলেন যে, ফেসবুকে চটকদার লেখা পোষ্ট দিয়ে সাময়িক বাহবা পাওয়া যায়, কিন্তু অনেক সময় পরিনাম ভালো হয় না। চট্টগ্রাম তার উজ্জ্বল উদাহরণ। চট্টগ্রামের সারথিরা সাংবাদিক ভাইদের সাথে যে ব্যবহার করেছে- এটা কোনভাবে কাম্য নয়। এতে ফোরামের ভাবমূর্ত্তি বেশ ক্ষুন্ন হয়েছে। এই সমস্যা মোকাবেলা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বাবুল পাল, আমি নিজে এবং রতন পালকে সার্বক্ষণিক কাজ করতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, তিনি নিজে শ্রী রানা দাস গুপ্ত দাদাকে ফোন করে অনুরোধ করেছেন যাতে চট্টগ্রামের সারথিরা জেল থেকে জামিন পায়। পরে রানা দাদা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতিকে একটি চিঠি লেখেন। কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবহিত না-করে জেলা পর্যায়ে যাতে কোন কর্মসূচি দেয়া না-হয় এব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তিনি সভাপতি মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়া ফেসবুকে লেখা পোষ্ট দিতে সারথিদের সতর্কতা অবলম্বন করা সহ অন্যের লেখায় বাজে এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। গত দুর্গা পূজায় এক হাজার টিশার্ট শারদাঞ্জলি ফোরামের উদ্যোগে স্বল্প মূল্যে বিভিন্ন জেলায় সারথিদের মাঝে বিতরণ করা হয়। টিশার্টগুলো তিনি নিজেই শারদাঞ্জলি ফোরামকে তার নিজস্ব ফ্যাক্টরি থেকে তৈরি করে দিয়েছেন। এজন্য তিনি কোন মূল্য নেননি। তিনি কোন প্রচার প্রচারণার জন্য এটা করেননি। শারদাঞ্জলি ফোরামের প্রতি মমত্ববোধ থেকে তিনি এই কাজ করেছেন। আগামীতেও তিনি এভাবে কাজ করে যাবেন বলে প্রতিশ্র“তি দেন। তার এই মহতী কর্মকাণ্ডের জন্য উপস্থিত সারথিগণ হাততালি দিয়ে তাকে অভিনন্দিত করেন। পরিশেষে তার বক্তব্য উপস্থিত সারথিদের ধৈয্য সহকারে শোনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

 

এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সভাপতি শ্রী বাবুল চন্দ্র পাল তার বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি প্রথমেই বলেন যে, আজকে এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় সম্মানিত বক্তাদের বক্তব্য মনযোগ দিয়েছে শুনেছেন। সমালোচনা, প্রস্তাবনা, প্রসংশা সবই তাতে আছে। তিনি বলেন, সমালোচনা না-হলে সংশোধনের সুযোগ থাকে না, প্রস্তাবনা না-থাকলে সংগঠনকে এগিয়ে নেয়া যায় না, আবার প্রসংশা না-করলে মনে আনন্দও আসে না। তিনি বলেন যে, গীতা ছাপানো নিয়ে একটি জটিল প্রক্রিয়া ছিলো। প্রথম সংস্করণ আমরা চট্টগ্রাম থেকে থেকে কম্পোজ করে সেখান থেকে প্লেট প্রস্তুত করে ঢাকায় দিকদর্শন প্রকাশনা লিঃ থেকে সরাসরি ছাপানোর ব্যবস্থা করা হয়। ঢাকায় সংশোধনের কোন সুযোগ ছিলো না। এই দায়িত্বটা দেয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক পিয়াল শর্মাকে। তিনি যথাযথভাবে প্র“প দেখেননি বলেই মনে হচ্ছে। তবে আমাদেরও একটা ভুল ছিলো। শুধু তার উপর আমাদের নির্ভর উচিত হয়নি। ঢাকা থেকে আমাদের কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে দিয়ে প্র“প দেখানো উচিত ছিলো। তিনি এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন যে, দ্বিতীয় সংস্করণে এমন ভুল আর থাকবে না। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় সংস্করণের কাজ শুরু হয়েছে। কম্পোজ শেষে প্রিন্ট নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক শারদাঞ্জলি ফোরাম ঢাকা মহানগর কমিটির সম্মানিত উপদেষ্টা অধ্যাপক হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক শ্রী কুশল চক্রবর্তীকে প্র“প দেখিয়ে তারপর ছাপানো হবে। তিনি আরও বলেন যে, হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি শ্রী সুজিত পাল প্রথম সংস্করণের গীতা যে সংশোধন করেছেন- সেটাও গুরুত্বের সাথে দেখা হবে। এছাড়া তিনি শুদ্ধ উচ্চারণে জন্য আলাদাভাবে প্রিন্ট করা একটি বই এনেছেন, এটার শুদ্ধ উচ্চরণের অংশগুলো সংযোন করা যায় কিনা বিবেচনা করা হবে। তবে এতে গীতা কলেরবে অনেক বড় হয়ে যাবে এবং খরচও দ্বিগুণ হবে। যেহেতু আমাদের এখন পর্যাপ্ত ফান্ড নাই- তাই এব্যাপারে আমাদের এই সভায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বলেন যে, কয়েকজন সম্মানিত বক্তা বলেছেন তৃণমূল পর্যায়ের সারথিদের সাথে কেন্দ্রের যোগাযোগ নেই। এটা আংশিক সত্য। তিনি নিয়মিত প্রতিটি জেলার সারথিদের সাথে ফোনে সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত কথা বলে থাকেন। এমনকি বিদেশে যারা আছেন তাদের সাথেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য সাংগঠনিক পদে থাকা সারথিদের আরও সক্রিয় হতে হবে। সভাপতির উপর চাপ কমাতে হবে। এখনও ফোরামের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে সভাপতিকে কেন্দ্র করে। এটা মোটেও কাম্য হতে পারে। তিনি বলেন, যার যার পদবী অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করলে ফোরাম আরও দ্রুত এগিয়ে যাবে। মহিলা বিষয়ক সম্পাদক প্রমীলা পালের বক্তব্যে প্রসংগ টেনে তিনি বলেন যে, ফেসবুক ফোরামের বিশ্বাল প্রচারণার মাধ্যম। এটাতে কোন সমস্যা নাই। শারদাঞ্জলি ফোরাম শুধু ফেসবুকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, জেলায় জেলায় ফোরামের কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত হচ্ছে। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, শারদাঞ্জলি ফোরাম ঢাকায় তেমন কোন কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতে পারছে না। কারণ ঢাকা মহানগর কমিটি যে উদ্দেশ্যে গঠন করা হয়েছিলো, সেটা সফল হয়নি। ঢাকা মহানগর কমিটির সারথিরা যদি কর্মতৎপর হয়, তাহলে ঢাকা মহানগর সহ ঢাকা জেলায় শারদাঞ্জলি ফোরামের কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। শারদাঞ্জলি ফোরামের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে নানান আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। এ প্রসংগে তিনি বলেন যে, একটি অনুষ্ঠান সফল করার পিছনে অসংখ্য মানুষের শ্রম জড়িত থাকে। শারদাঞ্জলি ফোরাম একটি সর্বজনীন ফোরাম। এখানে কেউ বেতন নেয় না। সবাই সনাতনী চেতনা থেকে কাজ করছে। আয়োজনে কিছু ভুল-ক্রটি ছিলো- এটা অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু ভুলগুলোকে বড় করে দেখা কোনভাবেই সঠিক নয়। তাছাড়া আমি ব্যক্তিগতভাবে যারা অভিযোগ করেছেন, তাদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছি, এমনকি ক্ষমা পর্যন্ত চেয়েছি। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে যাতে ভুল না-হয় সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখবো। এছাড়া আগামীতে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রতি বছর না-করে তিন বছর পর পর করা যায় কিনা এটা নিয়ে আগামী সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ফোরামের কার্যক্রম প্রতি বছরই জেলায় জেলায় সম্প্রসারিত হচ্ছে। এতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর খরচ এবছর দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ২০১৫ সালে আমাদের খরচ হয়েছিল ৮৫ হাজার টাকা, আর ২০১৬ সালে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। অথচ আমাদের কেন্দ্রীয় ফাণ্ডে তেমন টাকাও নেই। আমরা ১৫/২০ জন সারথি নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে গত আড়াই বছর ধরে প্রতিটি ধর্মীয় ও মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করে যাচ্ছি। সুতরাং আমাদের অনেক কিছু ভাবার সময় এসেছে। আমাদের এই সভায় এটি ডোনার ফান্ড করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এবং এটা গত জানুয়ারি, ২০১৭ থেকে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জেলায় জেলায় সাংগঠনিক সফরের ব্যাপারে যে প্রস্তাবনা এসেছে তিনি এব্যাপারে একমত পোষণ করেন। কেন্দ্রের সাথে তৃণমূলের সারথিদের যোগাযোগ বাড়ানো, উৎসাহ দেয়া এবং সঠিক দিকনির্দেশনা দেবার জন্য প্রতি মাসে কেন্দ্র থেকে এক বা একাধিক টিম জেলা সফরে যাওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মত দেন। চট্টগ্রামে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে গেছে- এটা খুবই দুঃজনক। এটা কোন ফোরামের কর্মসূচি ছিলো না, কেন্দ্রকে এব্যাপারে কোন অবহিত করাও হয়নি। এই ঘটনায় শারদাঞ্জলি ফোরামের ভাবমুর্তি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন ছাড়া কোন কর্মসূচি না-নেয়াই উত্তম বলে তিনি মতামত দেন। এধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না-ঘটে এজন্য প্রতিটি জেলা কমিটিকে সতর্ক থাকতে হবে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। ফোরামের মধ্যে দলাদলি প্রসংগে তিনি বলেন যে, দলাদলি, বিভাজন কখনও ফোরামের মঙ্গল বয়ে আনবে না। এতে ফোরামের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে। তিনি সারথিদের প্রতি অনুরোধ করেন, পদ-পদবী বা অন্য কোন বিষয় নিয়ে যেন দলাদলি না করে। আমরা সবাই শারদাঞ্জলি ফোরামের সারথি- এটাই আমাদের পরিচয় হোক, অন্য কিছু নয়। তিনি বলেন যে, দিনাজপুরের ঐতিহাসিক কান্তাজীর মন্দির সারা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের বাইরে সনাতনীদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত। সেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার পুণ্যার্থী আসেন। দিনাজপুর জেলা কমিটি সেখানে পুণ্যার্থীদে মাঝে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাইলে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত উপদেষ্টা শ্রী লিটন পাল সম্পর্কে বলেন যে, এমনিতেই তিনি শারদাঞ্জলি ফোরামের প্রতিটি মানবিক এবং ধর্মীয় কাজে আর্থিক এবং নৈতিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। গত দুর্গা পূজায় তিনি নিজ ফ্যাক্টরি থেকে ১ হাজার টিশার্ট তৈরি করে দিয়েছেন। এজন্য তিনি কোন অর্থ নেননি। শারদাঞ্জলি ফোরামের পক্ষ লিটন পালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দুবাই-এ কর্মরত শারদাঞ্জলি ফোরামের একনিষ্ঠ শুভাকাঙ্খী শান্ত সরকার সম্পর্কে তিনি বলেন যে, যেখানে আমরা ডোনার অনুসন্ধান করছি, সেখানে শান্ত সরকার এমন একজন ব্যক্তি যিনি স্বেচ্ছায় বিভিন্ন ধর্মীয় এবং মানবিক কার্যক্রমে অনুদান দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। তিনি ইতিমধ্যে শারদাঞ্জলি ফোরামে গীতা ফাণ্ডে ২০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন এবং মাদারীপুরের দরিদ্র পরিবারের কন্যা বর্ষার চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা অনুদান পাঠিয়েছেন। তিনি আমাদের সকল মানবিক এবং ধর্মীয় কাজে সহায়তা দেবার প্রতিশ্র“ত দিয়েছেন। এমন একজন মহৎপ্রাণের ব্যক্তিকে শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সারথি করার জন্য তিনি অনুরোধ জানান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ময়মনসিংহের কৃতি সন্তান পল্লব সরকার সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান যে, সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি নানা মানবিক কাজের সাথে তিনি জড়িত আছেন। ইতিমধ্যে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ক্যান্সার আক্রান্ত অর্কের জন্য প্রায় ৭০ হাজার টাকা অনুদান সংগ্রহ করে অর্কের হাতে সে অনুদানের অর্থ পৌঁছে দিয়েছেন এবং শারদাঞ্জলি ফোরামের আরো অনেক মহতী কাজে তিনি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয় তিনি দেশে এসে তার নিজ জেলা ময়মনসিংহ জেলা কমিটি গঠন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করেছেন। এছাড়া তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন জেলা সফরে গিয়ে শারদাঞ্জলি ফোরামের সারথিদের কাজ করার জন্য প্রেরণা দিয়েছেন। এজন্য পল্লবের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

 

এরপর সভাপতি মহোদয় আজকের সভার আলোচ্যসূচিগুলো নিয়ে আলোচনা করে সবার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে নিুোক্ত সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়।

 

৩.০ শারদাঞ্জলি গীতা নিকেতন বোর্ড পুনর্গঠন, নতুন করে গীতা ছাপানো নিয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ ঃ

 

শারদাঞ্জলি ফোরামের উদ্যোগের সারা বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১২৫ টি গীতা নিকেতন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি মাসেই বিভিন্ন জেলা থেকে গীতা নিকেতন প্রতিষ্ঠার আবেদন আসছে। প্রথম সংস্করণে শারদাঞ্জলি ফোরামের উদ্যোগে ৫ হাজার গীতা ছাপানো হয়েছিলো। এগুলোর বিতরণ শেষ হয়ে যাওয়াতে আরও গীতা ছাপানোর প্রয়োজন হওয়ায় প্রথম সংস্করণের ভুলগুলো সংশোধন করে নতুন করে গীতা ছাপানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উৎপল ভট্টচার্যকে এব্যাপারে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া গীতা শিক্ষা কার্যক্রম যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় সেজন্য একটি গীতা নিকেতন বোর্ড করা হয়েছিল। কিন্তু বোর্ডের নির্বাহী সচিব পিয়াল শর্মা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় গীতা বোর্ড পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে এব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা শেষে নিচের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ঃ

 

৩.১ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির উদ্যোগে দিকদর্শন প্রকাশনী লিঃ থেকে দ্বিতীয় সংস্করণে ৫০০০ হাজার গীতা ছাপানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এবাদ ২ লাখ টাকার একটি সম্ভাব্য বাজেট প্রণয়ন করা হয়।

 

৪.২ শ্রী সুজিত পাল কর্তৃক সংশোধিত গীতা এবং শুদ্ধ উচ্চারণ যে পাণ্ডুলিপি তিনি দিয়েছেন- সেটা সংযোজনের জন্য বিবেচনায় আনা হয়। এগুলো উৎপল ভট্টচার্যকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

 

৪.৩ নতুন করে গীতা ছাপানোর জন্য অনুদান সংগ্রহের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অনুদানের জন্য আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রী বাবুল পাল ফেসবুকে একটি লেখা পোষ্ট দেবেন।

 

৪.৪ নির্বাহী সচিবের পদ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে এ পদে কাকে দেয়া হবে এব্যাপারে আজকের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। যেহেতু পিয়াল শর্মার কাছে কাছে পুরো গীতা শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য আছে, তিসি সকল তথ্য ঢাকা এসে গীতা বোর্ডে মহাসচিব শ্রী রতন চন্দ্র পাল-এর নিকট আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বুঝিয়ে দেবেন।

 

৪.৫ পিয়াল শর্মার ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি শ্রী অজিত কুমার শীলের সাথে ফোনে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রী বাবুল চন্দ্র পালকে দেয়া হয়। তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য নির্বাহীদের সাথে আলাপ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত সবাইকে জানিয়ে দেবেন।

 

৪.৬ নতুন নির্বাহী সচিব নির্বাচিত না-হওয়া পর্যন্ত শ্রী উৎপল ভট্টচার্য্যকে গীতা সংক্রান্ত সকল বিষযে জেলা পর্যায়ের সারথিদের সাথে যোগাযোগের দায়িত্ব দেয়া হয়।

 

৪.৭ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি শ্রী আশীষ কুমার দাশ এবং দুবাই এ অবস্থানরত শ্রী শান্ত সরকারকে গীতা বোর্ডের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এছাড়া শ্রী অভি দত্তকে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়।

 

৪.৮ পুনর্গঠিত তালিকা পরবতীতে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফেসবুকে সবাইকে জানিয়ে দেবেন।

 

৫.০ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি কর্তৃক সদস্যদের নিকট থেকে অনুদান সংগ্রহের সার্বিক তথ্য উপস্থাপনঃ

 

কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি উপস্থিত সারথিদের উপস্থিতিতে অনুদান সংগ্রহ, খরচ এবং মোট উদ্বৃত্ত অনুদানের পরিমাণের তথ্য সভাকে অবহিত করেন। এপর্যন্ত অনুদান সংগ্রহ হয়েছে ১,৭০,০০০.০০ টাকা। বিভিন্ন খাতে খরচ হয়েছে ৮৭,৪১০.০০ টাকা। মোট উদ্বৃত্ত অনুদানের পরিমাণ ৮২,৫৯০.০০ টাকা ব্যাংকে জমা আছে।

 

৬.০ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ কর্তৃক সারথিদের চাঁদা আদায় সহ হিসাবের তথ্য সভাকে অবহিতকরণঃ

 

কোষাধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকায় কোষাধ্যক্ষের পক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সারথির থেকে চাঁদা আদায়ের তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন যে, ২০১৬ সালের মাসিক চাঁদা এখনও কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক সারথি পরিশোধ করেননি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ২০১৬ সালের বকেয়া চাঁদা এবং ২০১৭ সালের চলমান মাসিক চাঁদা আদায়ের জন্য ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ সুমন দাসকে সহয়তা করার জন্য সভাপতির মুখপাত্র শ্রী পলাশ নাথ এবং প্রধান সমন্বয়ক সুমন বর্মনকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

 

৭.০ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির স্থায়ী ডোনা ফাণ্ড গঠন নিয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ

 

ফোরামের খরচ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফোরামের বিভিন্ন ধর্মীয় ও মানবিক কার্যক্রমের খরচ নির্বাহের জন্য প্রতি মাসে কেন্দ্রীয় কমিটির ১৫/২০ জন সারথি গত আড়াই বছর ধরে অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন। এতে তাদের উপর আর্থিক চাপ বেড়ে গেছে। এসব বিবেচনা এনে বিস্তারিত আলোচনা শেষে নিচের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ঃ

 

৭.১ ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাস থেকে স্থায়ী ডোনার ফাণ্ড গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

 

৭.২ কেন্দ্রীয় কমিটির যেসব নির্বাহী সারথি আছেন তার তাদের সম্মতি সাপেক্ষে ১০০ থেকে ১০০০ টাকা করে প্রতি মাসে স্থায়ী ডোনার ফাণ্ডে অনুদান দেবেন।

 

৭.৩ ছাত্রদের জন্য ডোনার ফাণ্ড প্রযোজ্য হবে না। তারা শুধু মাসিক ১০ টাকা চাঁদা পরিশোধ করবেন। তবে স্বেচ্ছায় কেউ অনুদান দিতে চাইলে সানন্দে গ্রহণ করা হবে।

 

৭.৪ কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শ্রী পুলক চক্রবর্তীকে ডোনার ফাণ্ড সংগ্রহের দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির সাথে সমন্বয় করে সারথিদের থেকে অনুদান সংগ্রহ করবেন। এজন্য একটি স্থায়ী বিকাশ নাম্বার দেয়া হবে।

 

৭.৫ বিকাশ নাম্বারে প্রতি মাসে অথবা তিন মাস, ছয় মাস এবং একসাথে এক বছরের অনুদান সারথিরা দিতে পারবেন।

 

৮.০ জেলা সফর নিয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ ঃ

 

তৃণমূল পর্যায়ের সারথিদের সাথে যোগাযোগ বাড়ানো এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার জন্য প্রতি মাসে একবার কেন্দ্রীয় কমিটির এক বা একাধিক টীম জেলা সফরে যাবার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিস্তারিত অলোচনা শেষে নিচের সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়ঃ

 

৮.১ প্রতি মাসে একবার করে কেন্দ্রীয় কমিটির এক বা একাধিক টীম জেলা সফরে যাবেন। কোন জেলায় কখন যাওয়া হবে সেটা জেলা বা মহানগর কমিটিকে ১৫ দিন পূর্বে জানিয়ে দেয়া হবে।

 

৮.২ জেলা সফরের ব্যাপারে সমন্বয় সাধনের জন্য শ্রী পলাশ নাথ এবং শ্রী লোকনাথ ভৌমিককে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্ট শ্রী লিটন পাল, সভাপতি শ্রী বাবুল পাল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শ্রী সঞ্জয় ভৌমিক, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি শ্রী রতন চন্দ্র পাল সহ অন্যান্য নির্বাহীদের সাথে আলাপ করে জেলা সফরের তারিখ নির্ধারণ করবেন।

 

৮.৩ আগামী পহেলা বৈশাখের পর প্রথম জেলা হিসেবে সাতক্ষীরা জেলা সফরে যাবার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তারিখ পরবর্তীতে জেলা কমিটিতে জানিয়ে দেয়া হবে।

 

৯.০ টিশার্ট বিক্রি, পূজা ম্যাগাজিন এবং প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর হিসাব সভাকে অবহিতকরণ ঃ

 

টিশার্ট বিক্রি এবং প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পূর্ণাঙ্গ হিসাব না-পাওয়ায় পরবর্তী সভায় জানানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পূজা ম্যাগাজিনের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা শেষে নিচের সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়ঃ

 

৯.১ গত দুই বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা গেছে যে, পূজা ম্যাগাজিনে যেহেতু বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন তেমন সংগ্রহ করা যায় না, তাই শারদাঞ্জলি ফোরামের সারথিদের শুভেচ্ছা বিজ্ঞাপন থেকে খরচ নির্বাহ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন পাওয়া গেলে সেগুলো ম্যাগাজিনে সন্নিবেশিত করা হবে।

 

৯.২ আগামী বছর থেকে পূজা ম্যাগাজিনে কেন্দ্রীয় কমিটি, জেলা এবং মহানগর কমিটির তালিকা পদবী এবং ফোন নাম্বার সহ দেয়া হবে।

 

৯.৩ যদি ছবি পাওয়া যায় তাহলে সাথে প্রত্যেকের ছবিও দেয়া হবে। ছবি এবং কমিটির তালিকা সংগ্রহের জন্য নিকেতন দে, কল্লোল রায়, সুমন ধর এবং উৎপল ভট্টচার্য্যকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এসকল তথ্য তারা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে জেলাওয়ারী সংগ্রহ করে রাখবেন। পরবর্তীতে ম্যাগাজিন প্রকাশনা কমিটির কাজে সেগুলো জমা দেবেন।

 

৯.৪ এছাড়া জেলাভির্ত্তিক গীতা শিক্ষা এবং মানবিক কার্যক্রমের ছবিও ম্যাগাজিনে সন্নিবেশিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসব তথ্যও উপরোক্ত চারজন সংগ্রহ করবেন।

 

১০.০ লাঙ্গলবন্দ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ ঃ

 

গত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে এবছরও লাঙ্গলবন্দে আগত পুণ্যার্থীদের সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণের জন্য শারদাঞ্জলি ফোরামের পক্ষ থেকে একটি স্টল নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যে শ্রী লিটন পাল-এর সহযোগিতায় স্টল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা শেষে নিচের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ঃ

 

১০.১ সেবা কর্মসূচি পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শ্রী সঞ্জয় ভৌমিককে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি সভাপতির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে কাজ করে যাবেন।

 

১০.২ পুণ্যার্থীদের মাঝে বিশুদ্ধ জল, শরবত স্বাস্থ্যসেবা এবং বাংলা ক্যালেণ্ডার বিতরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এব্যাপারে ৪০ হাজার টাকার একটি সম্ভাব্য বাজেট প্রণয়ন করা হয়। উক্ত টাকা ফোরামের সারথিদের থেকে অনুদান হিসেবে গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

 

উল্লেখ্য যে, সভায় উপস্থিত সারথিদের নিকট থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ২৮ হাজার টাকার অনুদান পাওয়া যায়। তাদের নাম এবং টাকার পরিমাণ নিচে দেয়া হলোঃ

 

১। শ্রী বাবুল চন্দ্র পাল ৫০০০.০০ টাকা

২। শ্রী অভি দত্ত ৩০০০.০০ টাকা

৩। শ্রী অজিত রায় ৩০০০.০০ টাকা

৪। শ্রী পুলক চক্রবর্তী ২০০০.০০ টাকা

৫। শ্রী দিলীপ কুমার সাহা ২০০০.০০ টাকা

৬। শ্রী আশীষ কুমার দাস ২০০০.০০ টাকা

৭। শ্রী উৎপল কুমার সাহা ১০০০.০০ টাকা

৮। শ্রী উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল ২০০০.০০ টাকা

৯। শ্রী সুজিত পাল ২০০০.০০ টাকা

১০। ডাঃ অপু কুমার সাহা ২০০০.০০ টাকা

১১। শ্রী পলাশ নাথ ৫০০.০০ টাকা

১২। শ্রী সন্দ্বীপ নিয়োগী ১০০০.০০ টাকা

১৩। শ্রী রঞ্জিত দাশ ১০০০.০০ টাকা

১৪। শ্রী প্রশান্ত রায় ৫০০.০০ টাকা

১৫। শ্রী তপন শীল তপু ১০০০.০০ টাকা

 

১১.০ কুমিলœা মহানগর কমিটির সম্মানিত সারথিদের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে পদত্যাগ নিয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ

 

কুমিল্লা মহানগর কমিটির সম্মানিত সারথিবৃন্দ যারা অভিমানে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সভাপতির বরাবরে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন- বিস্তারিত আলোচনা শেষে উপস্থিত সারথিদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ না-করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এব্যাপারে এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শ্রী সঞ্জয় ভৌমিক ফোনে সম্মানিত সারথিদের জানিয়ে দেয়ার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়।

 

১২.০ নির্বাহী সারথি হিসাবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে যারা অর্ন্তভ’ক্ত হয়েছেন, তাদের ব্যাপারে সভায় অনুমোদন গ্রহণঃ

 

শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটিতে কিছু নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিকে নির্বাহী সারথি হিসাবে নেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রী বাবুল পাল আজকের সভায় শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাদেরকে নির্বাহী সারথি হিসাবে রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া যায় কিনা জানতে চাইলে উপস্থিত সবাই সম্মতি জ্ঞাপন করেন। নিচে তাদের তালিকা দেয়া হলো ঃ

 

শ্রী দিলীপ কুমার সাহা

শ্রী রঞ্জন নন্দী

শ্রী পল্লব সরকার

শ্রী অম্লান চক্রবর্তী

শ্রী সাধন চন্দ্র দাস

শ্রী পিংকু চন্দ

শ্রী উৎপল ভট্টাচার্য

শ্রী সুমন ধর

শ্রী নিশিকান্ত তালুকদার

শ্রী জীবন চন্দ্র সূত্রধর

শ্রী শুভ বিশ্বাস

শ্রী স্বপন মহানায়ক

শ্রী দুলাল মজুমদার

শ্রী সমন সাহা সুপ্ত

শ্রী উৎপল কুমার সাহা

শ্রী নান্টু কুমার দাস

শ্রী অমর সাহা

শ্রী লিটন চন্দ্র ঘোষ

শ্রী জীবন দাস

শ্রী শান্ত সরকার

শ্রী দিলীপ দাস ভাস্কর

শ্রী কালিপদ ঘোষ

শ্রী অবিনাষ রায়

 

শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সহ-সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি শ্রী রতন চন্দ্র পাল তার ছোট ভাই শিপন পালের শ্বশুর ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লাইপ সাপোর্টে হাসপালে থাকায় তিনি সভাকালীন সময়ে উপস্থিত থাকতে পারেননি। সভা শেষে তিনি উপস্থিত হলে তাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রী বাবুল পাল সভায় নেয়া সিদ্ধান্তসমূহ অবগত করেন। তিনি সকল সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করে লাঙ্গলবন্দ কর্মসূচিতে ব্যানার এবং অনুদান দেবার প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করেন।

 

পরিশেষে সম্মানিত সভাপতি শ্রী বাবুল পাল উপস্থিত সকল সারথিকে সভায় উপস্থিত হওয়ায় এবং তাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদান এবং সভাকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের জরুরী সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

 

বাবুল চন্দ্র পাল

সভাপতি

শারদাঞ্জলি ফোরাম

কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি

 

 

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »