জুন ২৪, ২০২২ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত সভার বিস্তারিত কার্যবিবরণী

জুন ২৪, ২০২২ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত সভার বিস্তারিত কার্যবিবরণী পোস্ট দিলাম। শারদাঞ্জলি ফোরামের সারথিদের মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। 

 

গত জুন ২৪, ২০২২ ইং শুক্রবার সকাল ১১ঃ০০ টায় শারদাঞ্জলি ফোরাম-এর অস্থায়ী কার্যালয় চিত্তরঞ্জন এভিনিউ, মল্লিক টাওয়ারের ৮ম তলায় শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি শ্রী বাবুল চন্দ্র পাল।

 

সভায় সন্মানিত ৩২ জন সারথির বক্তব্যের নানা প্রস্তাবনা এবং সুচিন্তিত মতামতের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রী বাবুল চন্দ্র পাল সারথিদের বক্তবের জবাব দেন এবং আজকের আলোচ্য সূচির আলোকে পয়েন্ট ভিত্তিক বিস্তারিত আলোচনা করেন। সে মোতাবেক আলোচনা শেষে উপস্থিত সারথিদের সর্বসম্মত সম্মতি মোতাবেক নিন্মলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়ঃ

 

১.০ গত ২৭ আগস্ট, ২০২১ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন ঃ

 

কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন চন্দ্র চন্দ্র পাল গত ২৭ আগষ্ট, ২০২১ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী সভাকে অবহিত করেন এবং উপস্থিত সারথিদের সর্বসম্মত সিন্ধান্ত মোতাবেক কার্যবিবরণীসমূহ অনুমোদিত হয়।

 

২.০ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক নির্বাচিত সারথিদের অভিনন্দন জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান ঃ

 

কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন চন্দ্র চন্দ্র পাল শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নতুন নির্বাচিত সকল সারথিকে অভিনন্দন জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন যে, বর্তমানে ৪২ টি জেলায় শারদাঞ্জলি ফোরামের কার্যক্রম সম্প্রসারিত হয়েছে। করোনার কারণে গীতা শিক্ষা কার্যক্রম দুই বছর বন্ধ ছিলো। ২০২২ সাল থেকে আবার শুরু হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৪২ জেলায় ৪০০ গীতা নিকেতনে ৩০,০০০ গীতা শিক্ষার্থী গীতা শিক্ষা নিচ্ছে। বিভিন্ন জেলা থেকে নতুন নতুন গীতা নিকেতন প্রতিষ্ঠার চাহিদা আসছে। এজন্য গীতা শিক্ষার ব্যয়ও বাড়ছে। এর পাশাপাশি জেলায় জেলায় নানা মানবিক কার্যক্রমও পরিচালিত হচ্ছে। দরিদ্র পরিবারের মেয়ের বিয়েতে অনুদান দেয়া, চিকিৎসায় সাহায্য দেয়া, শিক্ষায় অনুদান দিয়ে যাচ্ছে। তিনি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে এই মানবিক কার্যক্রমে নিয়মিত অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বাবুল পাল একজন অবসরপ্রাপ্ত চাকুরীজীবি হয়েও সাধ্যমত নানা কর্মসূচিতে অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন যে, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শ্রী রতন চন্দ্র পাল তার নিজস্ব প্রকাশনা দিকদর্শন প্রকাশনা লিঃ থেকে স্বল্প খরচে হাজার হাজার গীতা এবং লিফলেট ছাপিয়ে দিচ্ছেন। নানা মানবিক কার্যক্রমে আর্থিক সহযোগিতা করছেন। তিনি বলেন যে, রক্তদান কর্মসূচি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মানবিক কর্মসূচিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। ফেসবুকে ধর্ম বিরোধী লেখা থেকে সারথিদের বিরত থাকারও পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন, শারদাঞ্জলি ফোরাম আমাদের সবার। আমরা সবাই এই ফোরামের সারথি। এটাই আমাদের বড় পরিচয়। তিনি পদ-পদবী নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিরোধে না জড়ানোর জন্য অনুরোধ জানান। ফেসবুকে, আলোচনা গ্রুপে ফোরাম বিরোধী লেখা পোষ্ট দেয়া সহ কাউকে অসন্মান করে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য সারথিদের অনুরোধ করেন।

 

৩.০ কোষাধ্যক্ষ কর্তৃক মাসিক চাঁদা আদায় এবং খরচের হিসাব সভাকে অবহিতকরণঃ

 

কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ শ্রী সুমন চন্দ্র দাস আজকের সভায় ২০২২ সালের এপর্যন্ত মাসিক চাঁদা আদায় সহ সর্বশেষ তথ্য সভাকে অবহিত করার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি উপস্থিত সারথিদের জন্য দুপুরের খাবারের আয়োজন এবং পরিবেশনের দায়িত্বে থাকায় সভায় সরাসরি হিসাব দিতে পারেননি। পরবর্তীতে তিনি কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রী বাবুল চন্দ্র পালের নিকট হিসাব বুঝিয়ে দেন।

 

কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রী বাবুল চন্দ্র পাল সভাকে জানান যে, কেন্দ্রীয় নতুন কমিটি গঠনের পর বিভিন্ন জেলা সহ প্রবাসী আলোচনা গ্রুপে নির্বাচিত সারথিদের বাৎসরিক প্রণামী কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক শ্রী সুমন দাস বিজয়ের বিকাশ নাম্বারে ব্যক্তিগতভাবে অথবা জেলা কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য ইতিমধ্যে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। প্রবাসী সারথি সহ বিভিন্ন জেলার ৫৮ জন সারথি ইতিমধ্যে বাৎসরিক প্রণামী পাঠিয়েছেন। এরমধ্যে একসাথে জেলা ভিত্তিক ১৫ জন সারথির বাৎসরিক প্রণামী ফেনী জেলা কমিটির পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে। এজন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি ফেনী জেলার সারথিদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি অন্যান্য জেলার সারথিদের কেন্দ্রীয় বাৎসরিক প্রণামী নিজ উদ্যোগে অথবা জেলা কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যেমে পাঠিয়ে দেবার জন্য অনুরোধ জানান।

 

৪.০ ১৪২৯ বঙ্গাব্দে অনুষ্ঠিতব্য শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে টিশার্ট তৈরি নিয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ ঃ

 

এ প্রসংগে কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন যে, করোনার তীব্র প্রাদুর্ভাবের কারণে ১৪২৭ এবং ১৪২৮ বঙ্গাব্দে অনুষ্ঠিত শারদীয় দুর্গোৎসবের টিশার্ট তৈরি করা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় ১৪২৯ বঙ্গাব্দে অনুষ্ঠিতব্য শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে টিশার্ট তৈরি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে নিন্মলিখিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ঃ

 

৪.১ যেহেতু বর্তমানে ৪২ জেলায় শারদাঞ্জলি ফোরামের কার্যক্রম সম্প্রসারিত হয়েছে, তাই সারথিদের চাহিদা বিবেচনা করে এবছর প্রাথমিকভাবে ২০০০ টিশার্ট তৈরি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিগত কয়েক বছরের মত এবছরও কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী লিটন চন্দ্র পাল টিশার্ট তৈরিতে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাবার প্রতিশ্রতি দেন। তাঁর এমন মহানুভবতার জন্য আজকের সভায় শ্রী লিটন পালের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।

 

৪.২ টিশার্ট বিক্রির অর্থ সংগ্রহের সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী নিকেতন দে। চাহিদানুযায়ী জেলায় জেলায় টিশার্ট পাঠানোর দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্রী রাজ মন্ডল এবং প্রধান সমন্বয়ক শ্রী কার্ত্তিক সূত্রধর। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শ্রী লিটন চন্দ্র পাল চাহিদা মোতাবেক বিভিন্ন জেলায় টিশার্ট দ্রুত পাঠানোর জন্য প্রয়োজনে কেন্দ্রীয়ভাবে আরও কয়েকজন সারথির মাঝে দায়িত্ব বন্টন করে করে দেবেন।

 

৪.৩ টিশার্টের প্রতিটির মূল্য পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে। টিশার্ট থেকে অর্জিত অর্থ কেন্দ্রীয় গীতা ফাণ্ডে জমা দেয়া হবে।

 

৪.৪ কোন জেলা আলাদাভাবে টিশার্ট তৈরি না-করে কেন্দ্র থেকে ক্রয় করার জন্য জেলা কমিটিগুলোর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

 

৪.৫ টিশার্ট বিক্রির সহায়তা প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় কমিঢির প্রচার সম্পাদক শ্রী উত্তম কুমার দাস প্রচারণার দায়িত্বে থাকবেন। সহ-প্রচার সম্পাদকগণ সহ কেন্দ্রীয় এবং জেলা কমিটির সারথিগণ ফেসবুকে প্রচারণায় সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাবেন।

 

৫.০ গীতা শিক্ষার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা ঃ

 

করোনার কারণে দীর্ঘ দুই বছর গীতা নিকেতনগুলো বন্ধ থাকায় গীতা শিক্ষায় বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। গত এপ্রিল, ২০২২ ইং থেকে পুনরায় জেলায় জেলায় গীতা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় নতুন নতুন গীতা নিকেতন উদ্বোধন হচ্ছে। নানা কারণে এখনো অভিন্ন সিলেবাস প্রণয়ন সম্ভব হয়নি। সুষ্ঠুভাবে গীতা শিক্ষা পরিচালনার জন্য অভিন্ন একটি সিলেবাস প্রণয়নের জন্য সম্মানিত বক্তাগণ মতামত প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য যে, কেন্দ্রীয় কমিটির মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক শ্রী সুজিত পালকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্রী সত্যাজিৎ চৌধুরী সিলেবাসের একটি খসড়া তৈরি করেছেন। নানা কারণে উক্ত কমিটির কোন সভা হয়নি। তবে আহ্বায়ক কমিটির সম্মানিত সদস্য আশীষ কুমার দাস অধ্যায় ভিত্তিক প্রশ্ন এবং উত্তর তৈরির কাজ তিনি করে যাচ্ছেন বলে সভাকে অবহিত করেন। এপর্যন্ত গীতার ৮ টি অধ্যায়ের আলাদা প্রশ্ন এবং উত্তর তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছেন বলেও তিনি সভাকে অবহিত করেন।

 

৬.০ স্টীয়ারিং কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ

 

গঠনতন্ত্রের ১০.০ ধারা মোতাবেক কোন সারথি ফোরামের নির্দিষ্ট নিয়মাবলি না-মানলে বা গঠনতন্ত্রবিরোধী কোন কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকলে বা অসদাচরণ করলে বা ফেসবুকে লেখার ক্ষেত্রে নিয়ম ভঙ্গ করলে বা মাসিক চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করতে হবে। প্রতি তিনি বছর পর পর নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের পর পূর্ববর্তী কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করতে হবে।

 

সে মোতাবেক আজকের সভায় পূর্ববর্তী কমিটি বাতিল করে ২০২২-২০২৪ এই তিন বছরের জন্য নতুন স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করা হলে সভায় উপস্থিত সারথিদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিচের সারথিদের নিয়ে আগামী তিন বছরের জন্য একটি স্টিয়ারিং কমিটি হঠন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ঃ

 

১) শ্রী রতন চন্দ্র পাল, সিনিয়র সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির

২) শ্রী আশীষ কুমার দাস, সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি

৩) শ্রী দিলীপ কুমার সাহা, সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি

৪) শ্রী লিটন চন্দ্র পাল, সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি

৫) শ্রী পলাশ চন্দ্র নাথ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি

৬) শ্রী হরি সাহা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি

৭) শ্রী নিকেতন দে, সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি

৮) শ্রী উৎপল কুমার সাহা, ঢাকা বিভাগীয় সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি

৯) শ্রী সুমন দাস বিজয়, অর্থ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি

 

৬.১ স্টিয়ারিং কমিটির সারথিগণ সভায় উপস্থিত থেকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অথবা কমিটির সারথিদের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিমত থাকলে ভোটের মাধ্যমে সভায় উপস্থিত স্টিয়ারিং কমিটির দুই তৃতীয়াংশ সারথির ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে সারথিদের নোটিশ দিয়ে অথবা বিনা নোটিশে শাস্তি দিতে পারবেন। স্টিয়ারিং কমিটির ৯ সারথির মধ্যে কমপক্ষে ৫ জনকে সভায় উপস্থিত থাকতে হবে।

 

৬.২ কেন্দ্রীয় কমিটি/জেলা/মহানগর/মাতৃশক্তি ফোরাম/উপজেলা/থানা/ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি পদাধিকার বলে স্টিয়ারিং কমিটির সারথি থাকবেন। তিনি সভায় তাঁর মতামত দিতে পারবেন। তবে ভোট দিতে পারবেন না। স্টিয়ারিং কমিটি যে সিদ্ধান্ত দেবে সভাপতি সেটা অনুমোদন দেবেন। সভাপতির অনুমোদনের পর শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী সারথিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিদ্ধান্তগুলো ফেসবুকে এবং চিঠির মাধ্যমে শাস্তিপ্রাপ্ত সারথিদের জানিয়ে দেয়া হবে।

 

৬.৩ স্টিয়ারিং কমিটি প্রয়োজনে গঠনতন্ত্রে কোন সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজনের সহ ফোরামের কোন নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হলে সভা আহ্বানের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। স্টিয়ারিং কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সভাপতি সেটা অনুমোদন দেবেন। পরবর্তীতে সাধারণ বা জরুরী সভায় স্টিয়ারিং কমিটির সিদ্ধান্তগুলো কার্যনির্বাহী কমিটির সারথিদের অবহিত করতে হবে।

 

৬.৪ কোন সারথি কর্তৃক ফোরামের নিয়মাবলি না-মানার কারণে অথবা ফোরাম বিরোধী কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার কারণে যদি সংগঠন থেকে অব্যহতি দেয়া হয় অথবা কোন সারথি স্বেচ্ছায় ফোরাম থেকে পদত্যাগ করেন, তাহলে উক্ত সারথি/সারথিদের ফোরাম এবং ফোরামের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন অন-লাইন পেজ/গ্র“পের কোনরূপ কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা দাবি করে ফোরাম ও অন-লাইন পেজ/গ্র“পের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

 

৭.০ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ

 

কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচিত সারথিদের নিয়ে অভিষেক অনুষ্ঠান করার ব্যাপারে আজকের সভায় কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। ফোরামের রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে অতি সত্বর উদ্যোগ নেয়া হবে। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী লিট চন্দ্র পাল উদ্যোগ নেবেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রী বাবুল চন্দ্র পাল বিভিন্ন তথ্য সহ কাজগপত্র শ্রী লিটন পালকে সরবরাহ করবেন। ফোরামের রেজিস্ট্রেশনের পর কেন্দ্রীয় কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

 

৮.০ জেলা, মহানগর এবং মাতৃশক্তি কমিটিতে স্থবিরতা, কোন্দল নিরসনে কেন্দ্র সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং কমিটি গঠন ও অনুমোদনের ব্যাপারে গঠনতন্ত্রে সংশোধন এবং সংযোজন নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ

 

এ প্রসঙ্গে সভাপতি শ্রী বাবুল চন্দ্র পাল বলেন যে, বাংলাদেশে বর্তমানে ৪২ টি জেলায় শারদাঞ্জলি ফোরামের কার্যক্রম সম্প্রসারিত হয়েছে। এর মধ্যে ২১ টি জেলা পূর্ণাঙ্গ কমিটি, ১১ টি জেলায় আহ্বায়ক কমিটি এবং ১০ জেলায় কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য শারদাঞ্জলি ফোরামের একটি শক্তিশালী গঠনতন্ত্র আছে। গঠনতন্ত্রের আলোকেই কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি সহ জেলা এবং জেলার অধীনে সকল কমিটি পরিচালিত হয়ে আসছে। তারপরও জেলায় জেলায় বিভিন্ন সময় কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি, ফোরামের স্থবিরতা সহ অন্যান্য কিছু সমস্যার উদ্ভব হয়। এরই প্রেক্ষিতে সময়ের প্রয়োজনে গঠনতন্ত্রেও কিছু সংশোধন এবং সংযোজন করতে হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, গঠনতন্ত্রের ৫.১ ধারায় উল্লেখ আছে যে- “জেলা কমিটি গঠনের পর পর্যায়ক্রমে মহানগর, জেলা মাতৃশক্তি ফোরাম, উপজেলা, থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠিত হবে। জেলা কমিটি মহানগর, জেলা মাতৃশক্তি ফোরাম, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠনে সহয়তা করবে। প্রয়োজনে সময়ে সময়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির দির্কনির্দেশনা মোতাবেক মহানগর, উপজেলা, থানা এবং ইউনিয়ন কমিটির সাথে মত বিনিময় সহ ফোরামের সাবির্ক কার্যক্রম বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করে যাবে”।

 

কয়েকটি জেলায় কমিটি গঠন নিয়ে সমস্যা সৃষ্টির কারণে বিস্তারিত আলোচনা শেষে গঠনতন্ত্রে নিন্মলিখিত সংশোধনী গ্রহণে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ঃ

 

৮.১ যেসব জেলায় জেলা কমিটির পাশাপাশি মহানগর এবং মাতৃশক্তি কমিটি আছে বা নতুন করে গঠন করা হবে, সে সব জেলায় কোন সমস্যার সৃষ্টি না হলে গঠনতন্ত্রের আলোকে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্ব স্ব জেলা, মহানগর এবং মাতৃশক্তি ফোরাম গঠিত হবে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে জেলা, মহানগর এবং মাতৃশক্তি ফোরাম আলাদা আলাদা সভা আহ্বানের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে কমিটি গঠন করবে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে এক কমিটি আরেক কমিটি গঠনে পরামর্শ দিতে পারবে, কিন্তু কোন হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

 

৮.২ জেলা, মহানগর ও মাতৃশক্তি ফোরামের তাদের নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে কাজ করবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। তবে কোন সভা আহ্বান করা হলে এক কমিটি অন্য কমিটির সারথিদের আমন্ত্রণ জানাবে এবং সারথিগণও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সভায় অংশ নেবে। জেলায় কোন মানববন্ধন, জন্মাষ্টমী, রথযাত্রা সহ অন্যান্য কর্মসূচি থাকলে তিন কমিটি একসাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে অংশ গ্রহণ করতে হবে।

 

৮.৩ কোন জেলায় জেলা, মহানগর এবং মাতৃশক্তি ফোরামে মধ্যে কোন অভ্যন্তরীণ কোন্দল, দ্বন্দ্ব এবং ফোরাম পরিচালনায় স্থবিরতা দেখা দিলে কেন্দ্র থেকে প্রথমে সার্বিক সমস্যা নিরসনে সর্বাÍক চেষ্টা করে যাবে। সমস্যা নিরসন না হলে কেন্দ্র থেকে কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনে হস্তক্ষেপ করতে পারবে। কেন্দ্র থেকে যে সিদ্ধান্ত দেবে- জেলা, মহানগর এবং মাতৃশক্তি ফোরামের সারথিবৃন্দ সে সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য থাকবে। কোন সারথি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করলে, আলোচনা গ্রুপে অশালীন ভাষায় বাজে মন্তব্য করা বা ফেসবুকে পোষ্ট দিলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সাপেক্ষে কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে সতর্ক করা, তিরস্কার করা, ফোরাম থেকে অব্যহতি এবং প্রয়োজনে বহিষ্কার করা হবে।

 

৮.৪ নির্বাচন পরবর্তী জেলা কমিটির পাশাপাশি মহানগর কমিটি এবং জেলা মাতৃশক্তি কমিটির অনুমোদন কেন্দ্রীয় কার্যানির্বাহী কমিটি দেবে। জেলা কমিটি উপজেলা এবং ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদন দেবে। মহানগর কমিটি মহানগরের অধীনে থাকা থানা এবং ওয়ার্ড কমিটি অনুমোদন দেবে।

 

৮.৫ উপরোক্ত সংশোধনীসমূহ গঠনতন্ত্রে সংযোজনের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বাবুল চন্দ্র পালকে দায়িত্ব দেয়া হলো।

 

৯.০ গীতা বোর্ড গঠন নিয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ

 

এ প্রসংগে কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রী বাবুল পাল বলেন যে, গীতা শিক্ষার গুরুত্ব এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ২০১৫ সালে শ্রী রতন চন্দ্র পালকে মহাসচিব এবং শ্রী পিয়াল শর্মাকে সদস্য সচিব নির্বাচিত করে গীতা বোর্ড গঠন করা হয়। বর্তমানে গীতা শিক্ষার পরিধি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্ববর্তী কমিটি অবলুপ্ত করে নিন্মলিখিত সারথিদের সমন্বয়ে একটি নতুন গীতা বোর্ড গঠন করা হলো। দায়িত্বপ্রাপ্ত সারথিগণ বিভিন্ন জেলা থেকে গীতার চাহিদা গ্রহণ, বিতরণ, তথ্য সংরক্ষণ, গীতার পাঠ্যসূচী (সিলেবাস) প্রণয়ন সহ শারদাঞ্জলি ফোরাম পরিচালিত গীতা নিকেতনগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা এব্যাপারে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবেন।

 

১) নির্বাহী সচিব ঃ শ্রী রতন চন্দ্র পাল

২) মহাসচিব ঃ শ্রী লিটন চন্দ্র পাল

৩) যুগ্ম-মহাসচিব ঃ শ্রী আশীষ কুমার দাস

৪) যুগ্ম- মহাসচিব ঃ শ্রী সুজিত পাল

৫) যুগ্ম- মহাসচিব ঃ শ্রী শাওন মল্লিক

৬) সদস্য সচিব ঃ শ্রী নিকেতন দে

৭) সদস্য ঃ শ্রী সুমন দাস বিজয়

৮) সদস্য ঃ শ্রী কার্তিক সূত্রধর

৯) সদস্য ঃ শ্রী রঞ্জিত দাস

১০) সদস্য ঃ শ্রী রাজ মন্ডল

১১) সদস্য ঃ শ্রী দিপ হালদার

 

১০.০ কেন্দ্রীয় মাতৃশক্তি ফোরাম গঠন নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ ঃ

 

এ প্রংসগে কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রী বাবুল পাল বলেন যে, যেহেতু জেলায় জেলা কমিটি গঠনের পাশাপাশি মাতৃশক্তি ফোরাম গঠিত হচ্ছে, তাই গুরুত্ব বিবেচনা করে কেন্দ্রীয়ভাবেও মাতৃশক্তি কমিটি গঠন হওয়ায় প্রয়োজন। এব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা শেষে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ঃ

 

১০.১ সময়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় মাতৃশক্তি কমিটি গঠন করা হবে। এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রী বাবুল চন্দ্র পাল, সাধারণ সম্পাদক শ্রী লিটন চন্দ্র পাল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী নিকেতন দে কে দায়িত দেয়া হলো। তারা পরস্পর মত বিনিময় করে জেলা কমিটি থেকে ইতিমধ্যে পাওয়া তালিকা সংযোজন করে আগামী এক মাসের মধ্যে একটি কমিটি ঘোষণা করবেন।

 

১১.০ গীতা ফাণ্ডে অনুদানের প্রতিশ্রুতি এবং নগদ অনুদান দেয়ায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন ঃ

 

আজকের সভায় উপস্থিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি শ্রী কমল সাহা ৫০,০০০.০০ টাকা গীতা ফাণ্ডে অনুদান প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি এবং চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি শ্রী অজিত কুমার শীল চট্টগ্রাম জেলা কমিটির পক্ষে ১০,০০০.০০ টাকা অনুদান প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন। এর মধ্যে ২,০০০.০০ টাকা তিনি কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শ্রী লিটন পালকে প্রদান করেন এবং ৮,০০০ টাকা লিটন পালের কাছে পাঠিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম জেলা কমিটি সাধারণ সম্পাদক শ্রী রূপন নাগ ৫,০০০.০০ টাকা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার শুভাকাঙ্খী মিসেস অজিত ৫,০১০.০০ অনুদান প্রদান করে। শারদাঞ্জলি ফোরামের গীতা শিক্ষার মত মহতী কার্যক্রমে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য আজকের সভায় শ্রী কমল সাহা, শ্রী অজিত কুমার শীল, শ্রী রূপন নাগ এবং মিসেস অজিত এর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।

 

১২.০ সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ নিয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ

 

বিগত কয়েক দিনের বৃস্টি এবং উজান থেকে আসা জলের কারণে সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেয়া দিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ বাড়ী-ঘর ছাড়া হয়েছে। অনেক মানুষ মানবেতর জীবন-যাপন করছে। যেহেতু শারদাঞ্জলি ফোরাম ধর্ম শিক্ষার পাশাপাশি বহুমাত্রিক চেতনা নিয়ে নানাবিধ মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তাই সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার বানভাসি মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কেন্দ্র থেকে একটি টীম সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলায় ত্রাণ বিতরণের জন্য যাবে। ত্রাণ বিতরণে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শ্রী সুজিত চন্দ্র পালের নেতৃত্বে হবিগঞ্জ জেলার সারথিবৃন্দ। ত্রাণ সামগ্রি ক্রয় করার জন্য সর্বস্তরের শারদাঞ্জলি ফোরামের সারথি এবং শুভাকাঙ্খীদের থেকে আথিক সহযোগিতা চাওয়ারও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

 

১৩.০ শারদাঞ্জলি ব্লাড ব্যাংক নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ ঃ

 

শারদাঞ্জলি ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে তরুণ সারথিগণ অসুস্থ রোগীদের রক্তদান করে আসছে। চট্টগ্রাম থেকে প্রথমে রক্তদান কর্মসূচী শুরু হয়। এখন চট্টগ্রাম, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, চাঁদপুর সহ শারদাঞ্জলি ফোরাম পরিচালি সকল জেলায় রক্তদান কর্মসূচি সম্প্রসারিত হয়েছে। রক্তদান কর্মসূচির মত এমন একটি মানবিক কার্যক্রমকে তরুণ সারথিদের মাঝে সচেনতা বাড়ানো সহ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য আজকের সভায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কমিটি গঠনের ব্যাপারে যেসব সারথি এখন রক্তদান কর্মসূচির সাথে জড়িত আছে, তাদের পরামর্শ নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে।

 

১৪.০ লাঙ্গলবন্দ এবং বারদী সেবা ক্যাম্পের আয়-ব্যয়ের হিসাব সভাকে অবহিতকরণ ঃ

 

গত দুই বছর করোনার কারণে শারদাঞ্জলি ফোরামের উদ্যোগে লাঙ্গলবন্দ এবং লোকনাথ বাবার তীরোধান দিবসে বারদী সেবা ক্যাম্প পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। এবছর পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত লাঙ্গলবন্দে এবং লোকনাথ বাবার তীরোধান দিবসে সোনারগাঁও অবস্থিত বারদী আশ্রমে শারদাঞ্জলি ফোরামের উদ্যোগে সেবা ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। সেবা ক্যাম্প পরিচালনায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সারথিগণ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া বিভিন্ন জেলা থেকেও সারথি এবং শুভাকাঙ্খীরা সেবাক্যাম্পে সেবাদানে অংশ গ্রহণ করেছেন এবং আর্থিকভাবে সহযোগিতা প্রদান করেছেন। আজকের সভায় সেবা কাজে অংশ গ্রহণ এবং আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য শারদাঞ্জলি ফোরামের সারথি এবং শুভাকাঙ্খীদের প্রতি ধন্যবাদ জানানো হয়। লাঙ্গলবন্দ এবং বারদী সেবা ক্যাম্প পরিচালনায় যে অনুদান সংগ্রহ এবং ব্যয় হয়েছে, আজকের সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা কমিটির সভাপতি শ্রী হরি সাহা সভাকে অবহিত করেন। আয়-ব্যয়ের হিসাব নিন্মে দেয়া হলো-

 

লাঙ্গলবন্দ কর্মসূচির জন্য সারথিদের থেকে প্রাপ্ত মোট অনুদান ঃ ৭৮,২৫০.০০

মোট ব্যয় ঃ ৫৮,৬৬৩.০০

মোট উদ্বৃত্ত ঃ ২০,৫৮৭.০০

 

বারদী কর্মসূচির জন্য সারথিদের থেকে প্রাপ্ত মোট অনুদান ঃ ৫৫,৪৬০.০০

মোট ব্যয় ঃ ৩২,২৪১.০০

মোট উদ্বৃত্ত ঃ ২৩,২১৯.০০

 

সর্বমোট উদ্বৃত্ত ঃ ৪৩,৮০৬.০০

 

১৪.১ আজকের সভায় উদ্বৃত্ত ৪৩,৮০৪.০০ টাকা কেন্দ্রীয় গীতা ফাণ্ডে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

 

১৪.২ এখানে আরও উল্লেখ্য যে, লাঙ্গলবন্দ এবং বারদী সেবা ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী সারথিদের জন্য শ্রী লিটন চন্দ্র পাল ১৫০ টি টিশার্ট দান করেন। এছাড়া শ্রী প্রভাস বিশ্বাস লাঙ্গলবন্দ কর্মসূচির জন্য বিপুল পরিমাণ ঔষধ এবং বারদী সেবা ক্যাম্পের জন্য শ্রী জয়ন্ত কুমার সাহা ১০০ টি স্বেচ্ছাসেবক কার্ড ও ৫০ টি ব্যাচ প্রদান করেন। এমন মহানুভবতার জন্য আজকের সভায় শ্রী লিটন চন্দ্র পাল, শ্রী প্রভাস বিশ্বাস এবং শ্রী জয়ন্ত কুমার সাহার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সহ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।

 

১৫.০ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাহী সারথি সুজিত দেবনাথদের পদবী পরির্তন নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ঃ

 

চাঁদপুর জেলার সারথি শ্রী সুজিত দেবনাথ বর্তমানে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাহী সারথি পদে আছেন। তিনি তথ্য ও প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হওয়ায় তাকে সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করার ব্যাপারে উপস্থিত সারথিদের মতামত চাওয়া হলে আজকের সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করার সিদ্ধন্ত গৃহীত হয়।

 

আর কোন আলোচনার বিষয় না-থাকায় সভাপতি বাবুল চন্দ্র পাল সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির সারথি সহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে তাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদান এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহযোগিতা করে সভাকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

 

বাবুল চন্দ্র পাল

সভাপতি

Print Friendly, PDF & Email

Raj Mondol

নমস্কার সকলকে শারদাঞ্জলি ফোরাম পরিবারের পক্ষ থেকে। আমি রাজ মন্ডল শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বে আছি।সকলের সহযোগিতা পেলে ওয়েবসাইট টি আরো তথ্যনির্ভর করতে পারবো আশাকরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »